টুকরো খবর |
খুনের ঘটনায় ন’জনকে দোষী সাব্যস্ত আদালতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
ধারাল অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছিলেন একই পরিবারের চার জন। তিন বছর পর বুধবার অভিযুক্তদের নয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন কান্দির ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ওই নয় জন একই পরিবারের সদস্য। সরকার পক্ষের আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “বুধবার বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হবে।” সুনীলবাবু বলেন, “২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খড়গ্রামের বুধরাপাড়ার বাসিন্দা বজল শেখ (৫৫), তাঁর দুই ভাই আজিবুর শেখ (৫২) ও জামাত শেখ (৪৮) এবং তাঁদের ভাইপো সালাম শেখ (২৬) খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই চার জনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনার পর ওই পরিবারের পক্ষ থেকে আজিবুরের শ্বশুরবাড়ির মোট বারো জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়। ২৯ নভেম্বর নয় জনকে ও পরে আরও একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজিবুর বুধরাপাড়ার বাসিন্দা মাহাতাব শেখের মেয়ে মেরিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় আজিবুর মেরিনার নামে তিন বিঘা জমি লিখে দেন। কিন্তু শর্ত ছিল, কোনও কারণে মেরিনা যদি আজিবুরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে চলে যান তাহলে ওই জমি মেরিনাকে ফেরত দিতে হবে। ঘটনাচক্রে মেরিনার সঙ্গে আজিবুরের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের সময় পাওয়া জমি আজিবুরকে ফেরত দিতে বেঁকে বসেন মেরিনা। তারপর থেকেই দুই পরিবারের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। পরে মেরিনার বিয়ে হয় পলাশ কাজী নামে এক যুবকের সঙ্গে। ঘটনার দিন আজিবুর, তাঁর ভাই ও ভাইপো মিলে ওই জমিতে জোর করে চাষ করতে গেলে পলাশ ও মাহাতাবের বাড়ির লোকজন তাঁদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ধৃত নয় জন এতদিন জেল হেফাজতে ছিল। ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক এদিন ওই নয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিনিতা রায় বলেন, “কী সাজা ঘোষণা হয় দেখা যাক। তারপর আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।”
|
বকেয়া ভাতার দাবিতে বিডিওকে ঘেরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বকেয়া ভাতার দাবিতে বুধবার সুতি-২ ব্লকের বিডিওকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের তৃণমূল সমর্থক শিক্ষকরা। বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ এই ঘেরাও শুরু হয়। পরে দাবি মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হলে বিকাল চারটে নাগাদ ঘেরাও ওঠে। সংগঠনের জঙ্গিপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি মহম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, “মুর্শিদাবাদের ১৪০টি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের সবগুলিই বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত জঙ্গিপুর মহকুমায়। এখানে যে ৩৯১ জন শিক্ষক রয়েছেন তাঁরা ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। প্রায় সাত হাজার পড়ুয়া মাসে যে ১৫০ টাকা করে ভাতা পায় তাও ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে বন্ধ। বীরভুম-সহ অন্য জেলায় অক্টোবর পর্যন্ত ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হলেও মুর্শিদাবাদে তা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত।”বিডিও প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিডিওরা নিয়োগকর্তা হলেও এই প্রকল্পের সব টাকাই দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রক। ব্লক অফিসে দীর্ঘদিন সে টাকা না আসায় তা দেওয়া যায়নি।” মুর্শিদাবাদ জেলায় এই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার কৌশিক সরকার বলেন, ‘‘বকেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের কাছে জানানো হয়েছে। তাদের কথামত অডিট রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় স্কুলগুলিকে টাকা মেটানো যাচ্ছে না।”
|
তাঁত শ্রমিকদের পিএফে নাম নথিভুক্তকরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
অসংগঠিত ক্ষেত্রে তাঁত শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য নাম নথিভূক্ত করতে শান্তিপুরে একটি বিশেষ শিবিরের আয়োজন করেছে শ্রম দফতর। বৃহস্পতিবার শান্তিপুর পুরসভার সহযোগিতায় বাইগাছিপাড়া রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। এ দিন প্রায় পাঁচশো জন তাঁত শ্রমিকের নাম নথিভূক্ত করা হয়েছে বলে শ্রম দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। শ্রম দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার বিতান দে জানান, এরপর ১০ জানুয়ারি শান্তিপুর শহরের রামনগর পাড়া ক্লাব, ১৩ জানুয়ারি তন্তুবায় হাইস্কুল, ১৬ জানুয়ারি মালঞ্চ হাইস্কুল ও ২০ জানুয়ারি সূত্রাগড় চড়কতলা মুনলাইট ক্লাবে এমনই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হবে। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের অজয় দে। তিনি বলেন, “শান্তিপুরে যেহেতু প্রচুর তাঁত শ্রমিক আছেন তাই তাদের জন্য এই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আমাদের পুরসভা এলাকায় ১৪ হাজার ৭৫৬ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশো তাঁত শ্রমিক এরই মধ্যে তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ৭৭ জনও তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেয়ে যাবেন।”
|
লগ্নি সংস্থার দুই কর্তা ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
ফের ডোমকল থেকে গ্রেফতার হলেন লগ্নি সংস্থার দুই কর্তা। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হলেন স্বপন মণ্ডল ও নাদের হোসেন সর্দার। তাঁরা যথাক্রমে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এবং ডোমকলের মধুরকুল গ্রামের বাসিন্দা। আমানতকারীদের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই লগ্নি সংস্থার ডোমকলের অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আসবাব। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, “ভুয়ো সংস্থা খুলে মানুষকে প্রতারণা করছিল বলে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালায়। সংস্থার ডোমকল অফিস দু’জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে।”
|
দুর্ঘটনায় জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
মারুতি গাড়ির সঙ্গে লছিমন ভ্যানের ধাক্কায় জখম হলেন নয় জন। বুধবার সকালে সুতির মহেশাইলের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচক থেকে লালবাগে মারুতি চেপে বেড়াতে যাচ্ছিলেন ওই ন’জন। পথে লছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগরদিঘির বহিলাপাড়া গ্রামে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম কমল হাঁসদা (৬৫)। গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।
|
অস্ত্র-সহ ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
তিনটি শটার-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ডোমকলের শিমুলতলা ঘাট থেকে সেলিম মণ্ডল নামের ওই যুবককে হাতেনাতে ধরা হয়। সে নদিয়ার সাহেবপাড়ার বাসিন্দা। ডোমকলের এসডিপিও অরিজিৎ সিংহ বলেন, “নদিয়ার সীমান্তের ঘাট থেকে ধরা হয়েছে সেলিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রটির তল্লাশি চলছে।”
|
গাঁধী মূর্তির পাদদেশে পাল্টা সভা কংগ্রেসের |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
মহকুমাশাসকের নির্দেশ অমান্য করে গত ৬ জানুয়ারি মাইক বাজিয়ে বহরমপুর সুইমিং পুল চত্বরে সভা করেছিল যুব তৃণমূল। তার দু’ দিন পর, বুধবার একই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে পাল্টা সভা করল কংগ্রেস। সেখানেই রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “গাঁধী মূর্তির পাদদেশে সভা সমাবেশ করা জন্মগত অধিকার। সেই অধিকার শাসক কাড়তে চাইছে। এ দিনের আমাদের সভা তারই প্রতিবাদে।
|
দলে প্রত্যাবর্তন |
সাত দিনও কাটল না। শাসক দলে যোগ দিয়েও ফের কংগ্রেসে ফিরে এলেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদস্য। তাঁদের হাত ধরেই পুরনো দলে ফিরলেন মাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের চার কর্মাধ্যক্ষও। ২ জানুয়ারি ওই ৯ জনই কলকাতার তৃণমূল ভবনে গিয়ে শাসক দলের পতাকা হাতে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করে ছিলেন। এই ক’দিনেই মত পরিবর্তন কেন? দলত্যাগীরা এ দিন কবুল করেছেন, তাঁদের ভুল হয়ে গিয়েছিল। নিজের খাসতালুকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “প্রলোভন দেখিয়ে শাসক দল কংগ্রেসে
ভাঙন ধরাতে চাইছে। ভুল বুঝে অনেকেই চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন।” |
|