পরিকল্পনায় রদবদল অমিতের জমানায়
পাঁচ রুগ্ণ সংস্থার পুনর্গঠন ফের খতিয়ে দেখছে রাজ্য
প্রায় বন্ধ পাঁচ রাজ্য সরকারি সংস্থার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা বদলে ফেলল শিল্প দফতর।
নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে রুগ্ণ সংস্থার দায় বওয়া আর সম্ভব নয় বলে এগুলিকে পাকাপাকি ভাবে গুটিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী থাকার সময়ে ঠিক হয়, ন্যাশনাল আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি (নিস্কো), লিলি বিস্কুট, নিও পাইপস, ইলেকট্রো মেডিক্যাল অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং দুর্গাপুর কেমিক্যালসকে প্রথমে একটি পরিচালন কর্তৃপক্ষের আওতায় আনা হবে। সব মিলিয়ে যত কর্মী রয়েছেন, তাঁদের বিভিন্ন সরকারি দফতরে সরানো হবে। যাঁরা রাজি হবেন না, তাঁদের দেওয়া হবে আগাম অবসরের সুযোগ। রাজ্য মনে করেছিল, এতে সরকারি ব্যয়সঙ্কোচ যেমন সম্ভব হবে, তেমনই মোটা আয়ের পথ খুলে যাবে ৫ সংস্থার জমি (১৫০ একরেরও বেশি) ও সম্পত্তি বিক্রি থেকে। এমনকী এ জন্য উপদেষ্টা সংস্থাও নিয়োগ করে তারা।
কিন্তু অমিত মিত্র শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আপাতত বদলে যাচ্ছে সেই পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, নতুন মন্ত্রী আসার পর প্রথমেই জমি বিক্রির পথে হাঁটতে চায় না শিল্প দফতর। সরাসরি তা বিক্রির দায়ও নিজেদের কাঁধে রাখতে চায় না তারা। তার বদলে ওই ‘মৃতপ্রায়’ সংস্থাগুলিকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে ফের চাঙ্গা করা যায় কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মতামত জানতে চায়।
অনেকেই মনে করছেন, বাম আমলে যে-ভাবে ব্রিটিশ সরকারের ডিএফআইডি (ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট)-র টাকায় বিভিন্ন রুগ্ণ সংস্থার সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হয়েছিল, এখন অনেকটা সেই ধাঁচেই এগোতে চাইছে শিল্প দফতর। তখনও প্রথমেই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় উপদেষ্টা সংস্থা প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্স এবং ডেলয়েটকে। কোন সংস্থার কী ধরনের পুনর্গঠন প্রয়োজন, তা নির্দিষ্ট করা ছিল ওই রিপোর্টেই। এ বারও রুগ্ণ সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ স্থির করতে নতুন করে উপদেষ্টা নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। যাতে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যায়। তা সে কারখানা ঢেলে সাজাই হোক বা জমি বিক্রি। পরিবহণ দফতরের দেখানো পথে হেঁটে প্রথমেই উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি আর করা হবে না।
পাঁচ সংস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৫ একর জমি রয়েছে ১২ বছর আগে বন্ধ হওয়া বেলুড়ের নিস্কোর। তবে তার মধ্যে ৩০ একর মতো জবরদখল হয়ে গিয়েছে। জমি এবং কারখানার নিজস্ব ‘রেলওয়ে সাইডিং’-এর টানে এক সময়ে এই সংস্থা হাতে নিতে আগ্রহ দেখায় সেল। এ ছাড়া, ১০ একর জমি রয়েছে নিও পাইপসের। বেলেঘাটা ও বারাসত কারখানা মিলিয়ে লিলি বিস্কুটের আছে ৩৭ বিঘে। সল্টলেক ও বি টি রোডের ধার মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত প্রায় ৯ একর জমি রয়েছে ইলেকট্রো মেডিক্যাল অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের। এ ছাড়াও আছে দুর্গাপুর কেমিক্যালসের জমি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এই জমি বিক্রি আপাতত শিকেয়। বরং সংস্থাগুলির পুনর্গঠন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ফের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে। তবে প্রতিটি সংস্থায় আলাদা না-কি ৫টির জন্য একটিই উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সে সিদ্ধান্ত হলেই দ্রুত ওই নিয়োগের কাজ শেষ করতে চায় শিল্প দফতর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.