উপ-পুরপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেলেন সাঁইথিয়া পুরসভার কাউন্সিলর অনিতা সরকার। বুধবার দুপুরে তিনি বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণেই আমি ইস্তফা দিয়েছি। তাই এ দিন পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।” গত ২৮ অক্টোবর সাঁইথিয়া পুরসভার জয়ী ১০ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে প্রথম বার কংগ্রেসের হাতছাড়া হয় সাঁইথিয়া পুরসভা। দল বদলের সেই ভিড়ে যদিও অনিতাদেবী ছিলেন না। কিন্তু কংগ্রেসের হাত থেকে বোর্ড উল্টে তৃণমূলের দখলে আসার পরেও কংগ্রেসের অনিতাদেবীই উপ- পুরপ্রধান পদে ছিলেন। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন ছিল, দল বদল না করেও কী ভাবে অনিতাদেবী এত দিন ওই পদে বহাল ছিলেন। অনেকেই মনে করিছলেন, তবে কি অনিতাদেবীও তৃণমূলের যোগ দিতে চলেছেন? অনিতাদেবীর অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ দিকে, পুরপ্রধান বীরেন্দ্র পারেখ বলছেন, “এ ব্যাপারে দল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই এত দিন পযর্ন্ত উনিই উপ-পুরপ্রধান ছিলেন। তবে, রাত পর্যন্ত তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি।” এ দিকে, তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধান দু’টি পদেই দল নতুন মুখ আনতে চায়। এ নিয়ে আলোচনা শুরুও হয়েছে। তবে বীরেন্দ্রবাবুর পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
এলাকাকে জঞ্জালমুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল ফেলার বালতির যোগান দিলেন কাউন্সিলর। সম্প্রতি এই উদ্যোগ নিয়েছেন রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কবিতা বন্দোপাধ্যায়। নিজের ওয়ার্ডের জটাধারী তলায় এলাকার ২০০০ বাসিন্দাদের মধ্যে ২০০টি দুঃস্থ পরিবারকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জঞ্জাল ফেলার জন্য প্লাস্টিকের বালতি বিলি করা হয়। এলাকার বাসিন্দা তথা রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শুদ্ধোধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভা থেকে ময়লা ফেলার জন্য কর্মী থাকলেও এলাকা বড় হওয়ায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বালতিতে জমে থাকা ময়লা সংগ্রহে অসুবিধা হয়। ইতিমধ্যেই এই কাজে পাঁচজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। রোজ দুপুরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওই কর্মীরা এলাকায় গিয়ে ময়লা নিয়ে এসে একটি জায়গায় জঞ্জাল ফেলবেন।” তিনি জানান, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ওয়ার্ডের সর্বত্রই তিনি এই উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন।
|
এ বার কলকাতা-তারাপীঠ রুটে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করার জন্য হেলিপ্যাডের জন্য জমি খোঁজার কাজ শুরু করল প্রশাসন। কোন এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরি করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে বুধবার এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় সংস্থা পবনহংসের আধিকারিকেরা। ছিলেন মহকুমাশাসক (রামপুরহাট) রত্নেশ্বর রায় এবং রামপুরহাট ১ বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “বোলপুরের মতো তারাপীঠের সঙ্গেও কলকাতার যোগাযোগ বাড়াতে কপ্টার পরিষেবা চালু করা যায় কিনা, রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর তা দেখে নিতে চায়ছে। তারাপীঠে হেলিপাড তৈরির জন্য জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে। ১০ জানুয়ারি হেলিকপ্টারের ট্রায়ালও হবে।” সম্প্রতি রাজ্যের মফস্সল এলাকার কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ জায়গার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ গড়ে তুলতে সপ্তাহে এক দিনের জন্য রাজ্য সরকার হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা-শান্তিনিকেতন রুটের ‘ট্রায়াল’ও হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই তা চালু হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
|
শহরের যানজট এড়াতে বাইপাস তৈরি-সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি দিল দুবরাজপুর নাগরিক সমিতি। বুধবার বিকেলে মিছিল করে পুরসভায় যান সমিতির সদস্যেরা। পুরপ্রধান তৃণমূলের পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “‘সমস্যাগুলি মেটানোর কাজ চলছে। রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য শহরের যানজট সমস্যা সত্যিই তীব্র। সমস্যা মেটাতে বিষয়টি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।”
|
পাঁচ দফা দাবিতে সিউড়ি সদরের মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিলেন সিউড়ি পুরসভার ঠিকা কর্মীরা। সময়মতো মাস মাইনের দাবিতে মঙ্গলবার তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। এ দিনই অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষের কাছে মাইনে সংক্রান্ত দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস পেয়ে ওই কর্মবিরতি উঠে যায়। মহকমাশাসক চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী বলেন, “দাবিপত্র পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” |