দীর্ঘ দিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন হাওড়ার বালি-জগাছা ব্লকের চামরাইল পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। সেই সমস্যা দূর করতে মঙ্গলবার থেকে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হল। এ দিন প্রথম কাজটি হল বিবেকানন্দ পল্লিতে।
ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, “কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি নলকূপ বসানোর কাজ করছে। তাতে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হবে। এখানকার আটটি পঞ্চায়েতেই নলকূপ বসানো হবে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষা করে জায়গা চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দাকে পানীয় জলের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছিল পুকুর এবং অগভীর নলকূপের উপরে। কিন্তু সেই নলকূপও আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অকেজো হয়ে পড়ে সম্প্রতি। জলও পানের অযোগ্য। সেই সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই ১৫১ কোটি টাকায় বালির রামচন্দ্রপুরে একটি জলপ্রকল্প তৈরির কাজ শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। তবে সেই কাজ শেষ করতে প্রায় আড়াই বছর লাগবে। তার আগে গ্রামবাসীদের সমস্যার সুরাহা করতে নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা হয়।
বিবেকানন্দ পল্লি ছাড়াও চামরাইলের রামকৃষ্ণপল্লি, কুলের মাঠ, বাঁকড়া, শলপ এলাকাতেও নলকূপ বসানো হচ্ছে। খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। এ দিন গভীর নলকূপ বসানোর কাজের সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। |