সাইবার জালিয়াতিতে জড়িত সন্দেহে এক এমবিএ পাশ যুবক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দ্রুত গতিতে যাওয়া একটি গাড়িকে সন্দেহের বশে আটকে দু’জনকে ধরে পুলিশ। তাদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় দুর্গাপুর থেকে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালত ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে বেনাচিতির একটি ক্যুরিয়র সংস্থা থেকে চারটি শাড়ির ডেলিভারি নেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বাসিন্দা হারিন্দর মণ্ডল। সঙ্গে কমবয়সি এক জন ছিল। বিকেলে ভিড়িঙ্গি মোড়ে সিআইএসএফ বাসস্ট্যান্ডে হারিন্দর ও তাঁর সঙ্গী বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ে একটি গাড়ি তাদের তুলে নিয়ে আসানসোলের দিকে ছুটতে থাকে। আসানসোল দক্ষিণ থানার ঘাঘরবুড়ির কাছে পুলিশ গাড়িটি আটকালে সেটি মুখ ঘুরিয়ে উল্টো দিকে ছুটতে শুরু করে। রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ে টহলদার পুলিশ গাড়িটিকে ধরে ফেলে। গাড়ি থেকে আটক করা হয় অন্ডালের উখড়ার বাসিন্দা অশ্বিনী সিংহ ও রাজু গিরিকে। রাজুই গাড়িটি চালাচ্ছিল। উদ্ধার করা হয় হারিন্দর এবং তাঁর সঙ্গীকেও। পুলিশ জানায়, জেরায় ধৃতেরা দাবি করে, তারা হারিন্দরকে অপহরণ করে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ছিল। এর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, ধৃতেদের জেরা করে জানা যায়, হারিন্দরের যেখানে বাড়ি, সেই জামতাড়ার বাসিন্দা অভীককুমার সিংহ এবং সঞ্জয় মণ্ডল তাদের এ কাজে পাঠিয়েছিল। অভীক ও সঞ্জয় দিন কুড়ি আগে ৫৪ ফুট এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। নানা ছুতোয় অন্যের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পিন নম্বর জোগাড় করে অনলাইনে নানা কেনাকাটা করে থাকে তারা। একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় অভীকরা হারিন্দরের খবর জানত। এ দিন তিনি দুর্গাপুরে ক্যুরিয়র নিতে এলে অভীক ও সঞ্জয় তাঁকে অপহরণের নির্দেশ দেয় বলে ধৃতদের দাবি। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, “রাঁচির নামী কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়া, পুণে থেকে এমবিএ পাশ করা অভীক কম্পিউটারে তুখোড়। চাকরি না পেয়ে সে সাইবার জালিয়াতিতে হাত পাকিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে দলে আর কে আছে, কত দিন ধরে তারা কাজ করছে বিশদে সব জানার চেষ্টা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, হারিন্দরও অনলাইনে কেনাকাটা করেন। তবে তিনি অন্যের কার্ডের মাধ্যমে কেনেন কি না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। |