খুনের রহস্য ঘুচল ছেলের বয়ানে, ধৃত স্ত্রী-সহ চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাবার খাবারে গুঁড়ো মতো কিছু মেশাতে দেখেছিল ছ’বছরের ছেলে। পরে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেছিল বাবার বুকে বসে হাত চেপে ধরে রয়েছে মা। পাশে দাঁড়িয়ে খুব ঘামছে অপরিচিত এক কাকু। এই জবানবন্দির উপরে ভিত্তি করেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তার পরেই স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল স্নিগ্ধা শী (স্ত্রী), অঙ্কিত সাহা (প্রেমিক), স্নিগ্ধার মা বেবি রায় এবং অঙ্কিতের বন্ধু উদয় নাগ। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৮ নভেম্বর সকালে বালির আনন্দনগরে পচা খাল থেকে গলার নলি কাটা অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি একটি বিছানার চাদর দিয়ে মোড়া ছিল। কয়েক দিন আগে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবকের নাম সোনু শী (৩৪)। পুলিশ জানায়, প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ থাকায় গত ৩ ডিসেম্বর লিলুয়া থানায় ডায়েরি করেন সোনুর বাবা-মা। তখনই ওই নিখোঁজ ডায়েরির ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া যায় আনন্দনগর খাল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে তাঁর বাবা-মা বৌমা স্নিগ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সোনুর মা মিঠুদেবী বলেন, “বৌমা দাবি করে, সে জানে না আমার ছেলে কোথায়। তিন নাতনি ও এক নাতি মামার বাড়িতে রয়েছে বলেও জানায় সে। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়।” এর পরেই নাতি-নাতনিকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন মিঠুদেবীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, দাদু-ঠাকুমার কাছে এসে সোনুর ছেলে জয় গোটা ঘটনাটি বলে। জানতে পারে পুলিশও। এর পরেই ভট্টনগর থেকে রবিবার রাতে স্নিগ্ধা ও তাঁর মা বেবি রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিকল্পনা মতো সে দিন সকালে সোনু বাড়িতে এলে তাঁর খাবারের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ মেশায় স্নিগ্ধা। ওষুধটি অঙ্কিতই কিনে দিয়েছিল। খাবার খেয়েই ঘুমে ঢলে পড়ে সোনু। তখন দু’জন মিলে খুন করে সোনুকে। গোটা ঘটনাটাই জানলা দিয়ে দেখে ফেলে জয়।
|
গাছ কাটা নিয়ে গণ্ডগোল জগৎবল্লভপুরে, ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
বাড়ির উঠোনে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের জেরে আহত হলেন এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী-মেয়ে। মেয়েটির শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে জগৎবল্লভপুর থানার ঝিংরা গ্রামে। ঘটনার জেরে রবিবার রাতে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের নাম শেখ মোরতেজ আলি ও আসলাম আলি মল্লিক। আহত মেয়েটিকে জগৎবল্লভপুর গোয়ালপোতা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঝিংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বাড়ির উঠোনে একটি গাছ কেটে দেয় গ্রামের কয়েক জন। সে সময়ে গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী-মেয়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে হামলা চলে বলে অভিযোগ। বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন গৃহকর্তা।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁচলা |
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২ যুবকের। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে উলুবেড়িয়ার বেলতলায় মুম্বই রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম মহাদেব মাইতি (৩৪) ও রবীন কাঁড়ার (৩৬)। মহাদেবের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। রবিনের থাকতেন বাউড়িয়ার পরমানন্দচকে। দুই বন্ধু খলিশানিতে ব্যবসার কাজ সেরে ফিরছিলেন। একটি বাস বাইকে ধাক্কা মারে। চালক আত্মসমর্পণ করেন।
|
প্রমোটারদের হাত থেকে উত্তরপাড়ার ঘড়িবাড়ি মাঠকে রক্ষা করতে সোমবার উত্তরপাড়া থানা ও পুরসভায় স্মারকলিপি দিলেন স্থানীয়েরা। হুগলির ওই বহু পুরনো মাঠটি বাঁচাতে ইতিমধ্যেই এলাকার মানুষ ‘ঘড়িবাড়ি মাঠ রক্ষা কমিটি’ গড়ে তুলেছেন। উত্তরপাড়ার রাজাদের তৈরি ‘ঘড়িবাড়ি’ দীর্ঘদিন ইতিহাসের সাক্ষ্য বুকে নিয়ে দাংড়িয়ে ছিল। কয়েক দশক আগে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি ভেঙে আবাসন তোলা হয়। এলাকাবাসীর আপত্তি থাকলেও তা ধোপে টেকেনি। না প্রশাসন, না তৎকালীন বাম সরকার, কেউই উত্তরপাড়ার ইতিহাস এবং আবেগ জড়িয়ে থাকা ঘড়িবাড়ি বাঁচাতে পদক্ষেপ করেননি। এ বার ঘড়িবাড়ি লাগোয়া প্রায় ছয় বিঘারও বেশি বড় খেলার মাঠ বিক্রি করতে প্রমোটার-চক্র তলে-তলে সক্রিয় হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তবে তাঁদের জেদ, মাঠ রুখতে যত দূর যেতে হয় যাবেন। |