অভিনেতা নেই, আকর্ষণ হারাচ্ছে যাত্রা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ক্রমেই আকর্ষণ কমছে যাত্রাপালার। রবিবার বর্ধমানের কৃষ্ণপুর হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত যাত্রাশিল্পী ও পালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ৮০তম জন্মদিবস পালন অনুষ্ঠানে এমনই আক্ষেপ করলেন তাঁর মেজো ছেলে দেবদূত গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল যাত্রা এবং যাত্রাশিল্পীদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা ‘যাত্রা জগতের ঠিকঠিকানা।’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পালাকার জ্যোতির্ময় দে, শেখ মোসলেম, রমাপতি হাজরা, ইদবক্স। ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মেজো ছেলে দেবদূত গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “এখন শিক্ষিত লোকেরা গ্রামেও আর যাত্রা দেখতে আসছেন না। ফলে দলগুলি আকারে সংকুচিত হচ্ছে। যেখানে আগে অন্তত ২০-২২ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকতেন এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০-১২ জনে।” তিনি আক্ষেপ করেন, আগে গ্রামের মানুষ যাত্রাকে যে টাকা দিতেন, এখন আর তা দিচ্ছেন না। এতে যে শুধু যাত্রা দলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই নয়, মেকআপম্যান থেকে আলোর কারবারিরাও শিল্পটিকে ছেড়ে গিয়েছেন পেটের তাগিদে। তাঁরা এখন চাষবাসে মনোযোগী হতে বাধ্য হচ্ছেন। দেবদূতবাবুর মতে, যাত্রাপালাগুলির জায়গা নিয়েছে টিভি সিরিয়াল। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে যাত্রা বলে আর কিছু এ রাজ্যে থাকবে না। আয়োজক সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক মানোয়ার হোসেন বলেন, “হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালার ইতিহাস ধরে রাখতে আমরা একটি সংকলন তৈরি করছি। এই সংকলনে রাখা হবে বিভিন্ন যাত্রাজগতের ব্যক্তিত্বদের কথা। অতীতের শিল্পী শান্তিগোপাল, ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রকুমার দে, শেখর গঙ্গোপোধ্যায়, পান্না চক্রবর্তী, স্বপনকুমার, তরুণকুমার, তপনকুমার, রাখাল সিংহদের মত অভিনেতাদের সঙ্গে যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের লেখা ও সাক্ষাত্কার।”
|
বাগনান রঙ্গতীর্থের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ৩১ তম একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা হল বাগনান রথতলা ময়দানে। এই নাট্য প্রতিযোগিতায় যোগদান করে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমানের প্রায় ১৬টি দল। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব প্রণয় গঙ্গোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শ্যামল মিত্র, চিত্তরঞ্জন পাল, হারাধন বোয়াল প্রমুখ। শ্রেষ্ঠ প্রয়োজনায় প্রথম হয় উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার কালপুরুষের নাটক ‘সন্ধ্যাবেলার জলসা ঘরে’, দ্বিতীয় হয় ইছাপুর আলেয়ার নাটক ‘প্রদোষকাল’, তৃতীয় হয় বর্ধমান কুশীলবের নাটক ‘স্বপ্নসম্ভবপুর’। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে নির্বাচিত হন রাজা গুহ, শুভেন্দু মজুমদার এবং যুগ্মভাবে রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং প্রিয়তোষ রায়। প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন অঙ্কিতা দত্ত, যুগ্মভাবে মৌসুমী মণ্ডল এবং সোমা চট্টোপাধ্যায়। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী নির্বাচিত হন সুপ্রিয় রায়।
|
টাকার বিনিময়ে তিনি যে কোনও মানের ছবিতে কাজ করেন না। তাই অন্যদের তুলনায় তাঁর রোজগারও অপেক্ষাকৃত কম। এমনই দাবি আমির খানের। এক অনুষ্ঠানে বললেন, “আজ পর্যন্ত আমি স্রেফ টাকার জন্য অভিনয় করিনি। সেটাই আমার সবচেয়ে বড় জোর।” ২৫ বছরের ফিল্মি জীবন। রোম্যান্টিক নায়ক থেকে স্কুলশিক্ষক, এখন খলনায়কের ভূমিকায় সবেতেই অনবদ্য আমির। তাঁর কথায়, “টাকার দরকার আছেই, তবু আমি সেই কাজটাই করি, যেটা আমার মন চায়। ...১০০ কোটি টাকা দিলেও, কাজ ভাল না লাগলে করব না।”
|
সিনেমা, টেলিভিশন এবং মঞ্চের জনপ্রিয় অভিনেতা কুনাল পাধি মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭। শনিবার শ্যুটিং শেষ করে বাড়ি আসার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। নতুন বাইক কিনেছিলেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সেই বাইকে র্স্টাট দিতে গিয়েই বুকে ব্যথা অনুভব করেন কুনাল। তাঁর অভিনীত নানা ছবির মধ্যে ‘কহানি’-ও ছিল। সেখানে বব বিশ্বাসের হাতে খুন হওয়া চিকিৎসকের ভূমিকায় ছিলেন কুনাল।
|
দু’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা হয়ে গেল আমতায়। যোগকল্যাণ বিদ্রোহী সঙ্ঘের উদ্যোগে স্থানীয় মাঠে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ১৯৫ জন প্রতিযোগী। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুলতান আহমেদ, বিধায়ক নির্মল মাজি প্রমুখ।
|