সহজ উপায়ে বৃষ্টির জল ধরে কী ভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তা নিয়ে একটি ‘প্রজেক্ট’ তেরি করেছিল বোলপুরের পাঁচ পড়ুয়া। ‘জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কগ্রেস’-এ ‘অসাধারণ প্রকল্প’ বিভাগে দেশ-বিদেশ থেকে জমা পড়া ৬৪৩টির ভিতরে বিচারকদের বেছে নেওয়া ২০টি ‘প্রজেক্টে’র মধ্যে স্থান পেল বোলপুর হাইস্কুলের মেহুল মিত্রের নেতৃত্বে তৈরি ওই ‘প্রজেক্ট’। ওই ‘প্রজেক্ট’ তৈরিতে তার অন্য চার সঙ্গী ছিল নীচুপট্টি নীরদবরণী হাইস্কুল প্রমিত দাস, বোলপুর হাইস্কুল দেবর্ষি রায়, নব নালন্দা শ্রেয়সী পাল ও শৈলবালা গার্লস স্কুলের শ্রেয়া চট্টোপাধ্যায়। |
খুদে বিজ্ঞানীদের তৈরি মডেল।—নিজস্ব চিত্র। |
একই বিভাগে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছে কোচবিহারের সেন্ট মেরি হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অপূর্বা সিংহ ও তার চার সঙ্গী। তাদের তৈরি ‘সৌরশক্তি ধারক’ বিষয়ক ‘প্রজেক্ট’টিও একই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। শনিবার বোলপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানাল জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের জেলা সমন্বয়কারী সংস্থা।
সংস্থার পক্ষে জানা গিয়েছে, ১০-১৭ বছরের শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ক চেতনার বিকাশ এবং প্রসারের জন্য ১৯৯৩ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতা দেশ জুড়ে আয়োজিত হয়। গত ২৭-৩১ ডিসেম্বর ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ভুপালে। বোলপুরের খুদে বিজ্ঞানী মেহুল মিত্র ও তার চার সঙ্গী ‘সহজ পদ্ধতিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে জল বিদ্যুৎ উৎপাদনে’র বৈজ্ঞানিক উপায় বাছাই হওয়া প্রকল্পটিতে দেখিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে মেহুলরা বলে, “খবর পেয়ে ভাল লাগছে। সংস্থা থেকে জানতে পেরেছি এর পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত করানো হবে। আমরা প্রকল্পটিকে আরও ভাল করতে তাঁদের থেকে পরামর্শ পাব।” বৈঠকে ছিলেন জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের জেলা সমন্বয়কারী সংস্থার সভাপতি পার্থসারথি বিশ্বাস, জেলা সমন্বয়ক তারক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বোলপুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা জেলা সমন্বয়ক (শিক্ষা) সুপ্রিয় সাধু। |