চার বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। দু’ দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পরে শুক্রবার রাতে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার কয়থানপুর গ্রামে অভিযুক্ত মোতি শেখ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, সিউড়ি জেলা হাসপাতালে অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ধৃতকে সিউড়ি দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জেলা বিচারক মহানন্দ দাসের এজলাসে হাজির করানো হয়। বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
সরকারি আইনজীবী রণজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘দ্য প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সচুয়াল অফেন্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ৫, ৭ ও ৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের পক্ষে এ দিন আদালতে কোনও আইনজীবী মামলা লড়তে চাননি। অভিযুক্ত নিজেই বিচারকের কাছে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে জামিনের আবেদন করে।” বিচারক অবশ্য সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি। এ দিকে, অভিযুক্তকে কেন পুলিশ নিজের হেফাজতে চাইল না, তা নিয়ে বীরভূমের এসপি সি সুধাকর কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গত বুধবার রাতে সিউড়ি থানা এলাকার এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করতে পারায় শুক্রবার তপ্ত হয়ে ওঠে সিউড়ি। সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ হয়, প্রতিবাদ মিছিলও বের হয়। শনিবারও ওই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা এবং শহরের নাগরিকেরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। ধৃতকে আগামী ১৭ জানুয়ারি ফের আদালতে হাজির করানো হবে।
শুক্রবার রাতেই অন্য একটি ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কেয়ামুদ্দিন শেখ নামে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। নলহাটি থানা এলাকার ওই ঘটনায় মেলা দেখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। |