|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
যে কেহ লিখুন রবীন্দ্রনাথ |
বইপোকা |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সিগনেচার টাইটল’ কী কী? ৫০১ গ্রেট রাইটার্স: আ কম্প্রিহেন্সিভ গাইড টু দ্য জায়ান্টস অব লিটারেচার (সাধারণ সম্পা. জুলিয়ান প্যাট্রিক, ব্যারন’স এডুকেশনাল সিরিজ) বলিতেছে উপন্যাসে ‘নষ্টনীড়’, ‘ঘরে বাইরে’, ছোটগল্পে ‘ভিখারিণী’, ‘অতিথি’, নাটকে ‘বাল্মীকি’, ‘বিসর্জন’। কবিতায় ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘গীতাঞ্জলি’, ‘দ্য গার্ডেনার’, ‘ফ্রুট গ্যাদারিং’। মিস্টেক মিস্টেক। ‘বাল্মীকি’ নামে রবীন্দ্রনাথের কোনও নাটক নাই, ‘বাল্মীকি-প্রতিভা’ নামে গীতিনাট্য আছে। ‘নষ্টনীড়’ ভারতী পত্রিকায় প্রথমে উপন্যাস বিভাগে প্রকাশিত হইলেও রবীন্দ্রনাথের জীবনকালেই গল্পগুচ্ছ-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘ভিখারিণী’ রবীন্দ্রনাথের ষোলো বছর বয়সের কাঁচা রচনা, ছোটগল্পকার হিসাবে তাহাতে তাঁহার ‘স্বাক্ষর’ নাই। ‘রক্তকরবী’, ‘রাজা’-র ন্যায় বিশিষ্ট রূপে রবীন্দ্রনাটকও সিগনেচার নহে! বলা হইয়াছে, পত্নী এবং দুই সন্তানের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী রচনার গভীরে দুঃখ বুনিয়া দিয়াছিল। ইহা মিথ্যা নহে, সত্যগোপন। রবীন্দ্ররচনার আরও গভীরে যে কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর ছাপ, তাহা কে বলিবে? রবীন্দ্রনাথের প্রথাগত শিক্ষা সম্পর্কে আছে, ‘স্টাডিড ব্রিফলি ইন ইংল্যান্ড’। অশ্বত্থামা হত বলা হইল। ইতি গজটি বলা হইল না যে রবীন্দ্রনাথ ইংল্যান্ডে পড়াশুনা শেষ করেন নাই। এমন মজাদার এন্ট্রি-র লেখক কে? গ্রন্থের ৫০০ এন্ট্রির প্রতিটির শেষে লেখকের নামের আদ্যক্ষর আছে, একমাত্র রবীন্দ্রনাথ-এই নাম নাই। রবীন্দ্রনাথকে লইয়া তবে যে কেহ লিখিতে পারেন, তাহার জন্য অধিকারী হইতে হয় না! পশ্চিম এমন হাট করিয়া দ্বার খুলিয়া দিবে, কে জানিত! |
|
|
|
|
|