|
|
|
|
শৌচালয় তৈরিতে বাধা, অভিযুক্ত প্রাক্তন পুরপ্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযোগ উঠল খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান জওহরলাল পালের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে নাম করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ত দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তপন সাহা। বৃহস্পতিবার থেকে শহরের ইন্দায় ‘খড়্গপুর কলেজ’ সংলগ্ন ওটি রোডের ধারে পূর্ত দফতরের নির্মীয়মান শৌচালয় তৈরির কাজ থমকে যাওয়াতেই ওই অভিযোগ বলে জানান তপনবাবু। অন্য দিকে, পূর্ত দফতরের ওই সুলভ শৌচালয় করার কাজ শুরু হলে, ফের বাধা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান।
রাজ্য সড়কের ধারে প্রতি তিন কিলোমিটার অন্তর সাধারণের জন্য শৌচালয় গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন জেলায় সেই কাজ শুরু করছে রাজ্য পূর্ত দফতর। কাজ চলছে খড়্গপুরের কলেজের সামনেও। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের শেষ দিকে কাজে নামে দফতরের খড়্গপুর শাখা। ঠিক হয়, রাজ্য সড়ক থেকে কলেজের দিকে যে ৬০ ফুট জমি পূর্ত দফতরের রয়েছে তার ১০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থে ওই শৌচালয় গড়া হবে। অত্যাধুনিক ওই শৌচালয় নির্মাণে ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মার্চের মধ্যেই নির্মাণ কাজ করার নির্দেশ রয়েছে। |
|
থমকে রয়েছে শৌচাগারের কাজ। —নিজস্ব চিত্র। |
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শৌচালয় তৈরির কাজে হাত দেয় দফতর। কলেজের দ্বিতীয় গেটের বাসস্টপের কাছেই নির্মাণের জন্য মাটি কাটার কাজ চালু হতেই প্রাক্তন পুরপ্রধান জওহরবাবুরা প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি, ওই জমিতে শৌচালয় হলে পিছনের রায়ত জমির মালিক অসীম অধিকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেননা, সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা নেই। তাঁদের প্রস্তাব, কলেজের উল্টো দিকে পূর্ত দফতরের যে জমি রয়েছে সেখানে শৌচালয় করা হোক। কেননা, সেখানে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কাজ চলছে। তবে সেই প্রস্তাবে পাত্তা দেয়নি পূর্ত দফতর। ইতিমধ্যে শৌচালয়ের ভিত তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অভিযোগ, এই অবস্থায় জওহরবাবুর লোকেরা শৌচালয় তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তপন সাহা বলেন, “কলেজের উল্টো দিকে কত জমি রয়েছে আমার জানা নেই। তা ছাড়া ওখানে জবরদখল থাকায় তুলতে গেলেও সমস্যা হবে। তাই আমরা কলেজের দিকে শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এ দিকে, গোটা ঘটনায় ফের সামনে এসেছে জওহরলাল পাল ও শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। শৌচালয় নির্মাণকে সমর্থন জানিয়ে দেবাশিসবাবুর অনুগামী এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার তৃণমূলের সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জওহরবাবু ঠিক করেছেন না। অবিলম্বে নির্মাণ কাজ চালু হওয়া উচিত।”
এই চাপান-উতোরে নির্মাণ কাজ আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তপন সাহা বলেন, “জওহরবাবুর বাধা দেওয়ায় বিষয়টি মহকুমাশাসককে আমি বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি কাজ চালু করতে বলেছেন।” আজ, শনিবার থেকেই ওই কাজ চালু হবে বলে তিনি জানান। মহকুমাশাসক আর বিমলা জানান, “কাজ শুরুর পর বাধা এলে আমি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।” |
|
|
|
|
|