বাঘের মুখে মত্স্যজীবী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলতলি |
বাঘে টেনে নিয়ে গেল মত্স্যজীবীকে। বৃহস্পতিবার সকালে কুলতলির আজমলসারি ৫ বেনিফেরির ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে আরও দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে নৌকা করে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন আসাক লস্কর নামে এক মত্স্যজীবী। তাঁর বাড়ি কুলতলির দেউলবাড়িতে। নৌকায় বসে জাল পেতে মাছ ধরার সময়ে হঠাত্ই একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপরে তাঁকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যায়। বন দফতরের রেঞ্জার সুব্রত মণ্ডল বলেন, “এক মত্স্যজীবীকে বাঘে টেনে নিয়ে গিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” ডিএফও লিপিকা রায়েরও একই বক্তব্য।
|
বৃহস্পতিবার সকালে দামোদর পেরিয়ে কাঁকসার ধোবাঘাটায় আশ্রয় নেওয়া হাতির দলটি শুক্রবার বড়জোড়া থানার দামোদর তীরবর্তী মানা এলাকায় বেশ কিছু সবজি খেত নষ্ট করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি অস্থায়ী দোকান ভেঙ্গে চালও খেয়ে নিয়েছে হাতির দলটি। খবর পেয়ে বড়জোড়া থানার পুলিশ ও বন দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দলটিতে প্রায় ২৩ টি হাতি রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি ছোট হাতি। স্থানীয় বাসিন্দা সাধন সরকার জানান, এদিন সকালে হঠাৎ হাতির দলটি দামোদরের দিক থেকে এলাকায় এসে পরে অবশ্য হাতির দলটি আবার দামোদরের দিকে চলে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের দিকে দলটিকে দামোদর পার করানোর চেষ্টা করা হবে।
|
গর্ভবতী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল চিলাপাতা জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্যপ্রাণ-৩ নম্বর বিভাগের চিলপাতা রেঞ্জে বানিয়া ৩ নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে হাতির মৃতদেহটি পাওয়া যায়। টহল দিতে গিয়ে বনকর্মীরা হাতির মৃতদেহটি দেখতে পান। ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী হাতিটি গর্ভবতী ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে অসুস্থতার করাণে সেটি মারা গিয়েছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে হাতিটির দেহ ময়নাতদন্ত হয়। হাতিটির পেটে দশমাসের একটি পুরুষ শাবকের দেহ পাওয়া গিয়েছে। হাতির দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বন দফতর। |