মালদহে শিশুমৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গত কয়েকদিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মহম্মদ আবদুর রসিদ জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২ টা অবধি ১৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যে শিশুগুলি মারা গিয়েছে, তাদের কারও জন্ম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে হয়নি। বাড়িতে ওই শিশুগুলির জন্ম হয়েছিল। কম ওজন ও শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুগুলি মারা গিয়েছে। জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “মৃত শিশুগুলিকে খুব খারাপ অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকরা শিশুদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কিছু করা যায়নি। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ আসন বিশিষ্ট শিশু বিভাগে বর্তমানে ৭০ জনেরও বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে। নিউনেটাল বিভাগে ২৫ আসনে ৪০ জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার জানান, গত ৪৮ ঘন্টায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন প্রসূতির সিজার করা হয়েছে।
|
চালু হল জরুরি বিভাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অবশেষে চালু হল বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি (বিআইএন)-র জরুরি বিভাগ। আপাতত স্ট্রোক ও মাথায় গুরুতর আঘাতের রোগীদের জন্য ওই বিভাগে ৬০টি শয্যার ব্যবস্থা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র এবং বিআইএন-এর অধিকর্তা অসিত সেনাপতি এ কথা জানান। বিআইএন-এর জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকেরা থাকবেন। তবে রোগী ভর্তি হবে এসএসকেএমে। বিআইএন-এর ডাক্তাররাই ওই রোগীদের চিকিৎসা করবেন। প্রদীপবাবু বলেন, “এত দিন নিউরোলজির ইমার্জেন্সি রোগীরা এসএসকেএমে ভর্তি হলে কলবুক পাঠিয়ে বিআইএন থেকে ডাক্তারদের ডাকা হত। দায়িত্বের চাপান-উতোর চলত বহু ক্ষেত্রেই। এখন আর সে সব থাকছে না। চিকিৎসকদের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকছে।” তবে মাথায় চোটের পাশাপাশি যদি রোগীর শরীরের অন্যত্রও আঘাত থাকে (মাল্টিপল ইনজুরি), তা হলে তাঁদের অবশ্য এসএসকেএমেই সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হবে।
|
পানীয় জলে জীবাণু, বিক্ষোভ শিলচরে |
জলের বোতল হাতে নিয়ে শিলচর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল ‘নাগরিক স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম পরিষদ’। সংগঠনটির অভিযোগ, শিলচর পুরসভার সরবরাহ করা জল নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত। বিভিন্ন এলাকায় নানা রকমের পোকাও তাতে মেলে। সম্প্রতি, ওই বিক্ষোভে নাগরিক স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিদাস দত্ত জানান, শহরের তিনটি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত একটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করিয়েছেন। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জলে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত। কিন্তু, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পরীক্ষাগারের দাবি, পুরসভার জল দূষিত নয়। শিলচর পুরসভার উপ-সভাপতি বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ বলেন, ‘‘১০-১৫ দিন ধরে শহরের সেন্ট্রাল রোড, পার্ক রোড এলাকায় নোংরা জল বের হচ্ছে। ওই সব জায়গার অনেক বাড়িতে জলের সংযোগ প্রায় দু’দশক পুরনো। পাইপের কিছু জায়গা ভেঙে যাওয়ায় জলে দূষিত জিনিস মিশছে।”
|
প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মতোই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে পরিষেবা চালু হয়ে গেল রিষড়া সেবাসদন হাসপাতালে। আপাতত রিষড়া পুরসভার তত্ত্বাবধানেই ওই হাসপাতাল চলবে। বেতন না পেয়ে যে চিকিৎসকেরা হাসপাতাল ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন। এ দিন রোগীও ভর্তি হয়েছেন। পুরপ্রধান শঙ্কর সাউ সকালে হাসপাতালে যান। রাজ্য সরকার অনুদানের টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় ও পরিচালন কমিটির সদস্যেরা পদত্যাগ করায় হাসপাতালে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। |