মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে সদ্যোজাত শিশু বদলের অভিযোগ উঠল। অভিযোগকারী শ্যামল চৌধুরী মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী-র পুত্রসন্তান হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে তাঁদের কন্যাসন্তান হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ইংরেজবাজার থানাতেও তিনি অভিযোগ করেছেন। যে শিশুকন্যাটি তাঁদের বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, তা নিতে অস্বীকার করেছেন শ্যামলবাবু ও তাঁর স্ত্রী। তাতে বিপাকে পড়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরিবারের লোকজন শিশুকন্যাটির ডিএনও পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শিশু বদলের অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার কালিয়াচকের মেহেরাপুর গ্রামের টুনটুনি চৌধুরীকে তাঁর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করান। সকাল ১১টায় টুনটুনিদেবী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। কিন্তু তাঁর স্বামী শ্যামলবাবুর অভিযোগ, “সন্তান হওয়ার পর নার্সরা স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলে হয়েছে। স্ত্রী-ও আমাকে তাই বলে। বিকালে ছেলেকে দেখতে গেলে দেখি স্ত্রী-র পাশে একটি শিশুকন্যা।”
তাঁর অভিযোগ, “আমার পুত্র সন্তানকে বদল করে কন্যা সন্তান রাখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া আমি ওই শিশুকে নিজের শিশু বলে মানতে পারব না।” হাসপাতালের সুপার মহম্মদ আবদুর রসিদ বলেন, “সিজার করে ওই প্রসূতির একটি কন্যাসন্তান প্রসব করানো হয়েছিল। সন্তান প্রসবের সময় ওই প্রসূতি আচ্ছন্ন ছিলেন। তাঁকে মেয়ে হয়েছে বলেই জানানো হয়েছিল। প্রসবের পরে প্রসূতির হাতে এবং সদ্যোজাতের হাতে তথ্য লিখেও দেওয়া হয়। এখন শিশু বদলের মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” তিনি জানান, শিশুটিকে পরিবারের লোকজন না নেওয়ায় আপাতত শিশুটিকে এসএনসিইউতে রাখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
ঘটনায় বিরক্ত জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “শিশু বদলের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করাতে বলেছি। বাবা-মা হয়ে একটি শিশুর সঙ্গে এমন আচরণ করাটা একেবারেই নিন্দনীয়।” |