|
|
|
|
|
|
|
মুনাফার সিঁড়ি বন্ড
লাভের লক্ষ্মী ঘরে তুলতে ইচ্ছে ঋণপত্রে বিনিয়োগের। কিন্তু আগে
ইল্ড আর ক্রেডিট রেটিংয়ের খবর নিয়েছেন তো? লিখেছেন নীলাঞ্জন দে |
|
সিনেমায় আমরা ‘বন্ড’-কে যেমন দেখি, সঞ্চয়ের বন্ড মোটেই তেমনটা নয়। বলা ভাল, প্রায় বিপরীত মেরুর বাসিন্দা!
রুপোলি পর্দায় জেমস বন্ডের আবির্ভাব মানেই রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশন। তাঁর অত্যাশ্চর্য কীর্তিকলাপ। এমনকী পরের মুহূর্তেও কী হতে পারে, তা ঘিরে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। খানিকটা শেয়ার বাজারের মতো।
সেখানে সঞ্চয়ের দুনিয়ার বন্ড (ঋণপত্র) যেন ঠিক তার উল্টো। গ্ল্যামার বা ক্যারিশমার ওই ছটা তার গায়ে নেই। চমক কম। কিন্তু তেমনই শেয়ারের তুলনায় অনেকটা কম তার অনিশ্চয়তা কিংবা ঝুঁকিও। যে চড়া রিটার্নের আশায় আমরা স্টক এক্সচেঞ্জে উঁকি দিই, ঋণপত্রে লগ্নি করে সে রকম মুনাফা ঘরে তোলা শক্ত। কিন্তু তেমনই সংস্থার দেউলিয়া ঘোষণা কিংবা দেশের অর্থনীতি রসাতলে যাওয়ার মতো কিছু না-ঘটলে, রাতারাতি নাটকীয় পতনের সম্ভাবনাও সেখানে বেশ কম। তাই ঝুঁকির আগুনে হাত না-পুড়িয়েও যাঁরা ভাল রিটার্ন পেতে আগ্রহী, বন্ডের বাজার তাঁদের পক্ষে মন্দ নয়।
অবশ্য তার মানে এই নয় যে, বন্ডে বিনিয়োগ একেবারে ঝুঁকিশূন্য। কারণ, বন্ডের বাজার দর সাধারণত ব্যাঙ্ক সুদের উল্টো দিকে হাঁটে। ব্যাঙ্ক জমায় সুদ কমলে, বন্ডের দর বাড়ে। আর সুদ বাড়লে, তার দাম কমে। ফলে হাতফেরতা বাজারে (সেকেন্ডারি মার্কেট) ঋণপত্রের দাম কমে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। তা ছাড়া, কোনও কারণে সংস্থা বা সরকারের আর্থিক অবস্থা সঙ্গিন হলে, লগ্নির টাকা ফেরত না-পাওয়ার ঝুঁকি তো রয়েইছে।
গোড়ার কথা |
|
বন্ড বা ঋণপত্র নিয়ে আলোচনা আমরা বিষয়-আশয়ের পাতায় আগেও করেছি। কিন্তু আজ তার যে-দিকটির উপর বিশেষ ভাবে জোর দেব, তা হল তা থেকে প্রাপ্য রিটার্ন। বন্ডই হোক বা শেয়ার কষ্টের রোজগারের উপর একটু ভাল রিটার্নের আশাতেই তা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করি আমরা। তাই ঋণপত্রে টাকা ঢালার আগেও তা থেকে আখেরে কেমন-কী পাওয়া যাবে, সেই ছবি একটু পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল।
ঋণপত্রে রিটার্নের কথা উঠলেই, একটা শব্দ প্রায় ব্যবহার হয়। তা হল ‘ইল্ড’। কিন্তু এই ইল্ড বস্তুটি কী, তা নিয়ে আমাদের ধারণা তেমন স্পষ্ট নয়। অনেকে মনে করেন বন্ড থেকে প্রাপ্য সুদই বুঝি ইল্ড। তেমনই আবার অনেকের ধারণা, এটি হল বেশি দামে ঋণপত্র বিক্রি করতে পারার দরুন হাতে আসা মুনাফা। কিন্তু আদপে এর কোনওটিই নয়।
অথচ কোনও বন্ডে বিনিয়োগ করা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা বিচার করতে তার সম্ভাব্য ইল্ড-ই অন্যতম মাপকাঠি। তাই আসুন, আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা স্বচ্ছ করার চেষ্টা করি। |
অ-আ-ক-খ |
(১) তার থেকে প্রাপ্য ‘সুদ’। বন্ডের বাজারে যা কুপন হিসেবে পরিচিত। ধরুন, ১০০ টাকা দামের বন্ড বছরে ১০ টাকা সুদ দিলে, তার কুপন ১০%। সাধারণত এই হার পুরো মেয়াদের জন্য একই থাকে।
(২) ওই কুপন না-তুললে, তা ফের বন্ডেই বিনিয়োগ হয়। ফলে সেটা কুপনের উপরি সুদ। তার মানে, প্রথম বছরে কুপন হিসেবে পাওয়া ওই ১০ টাকার উপরেও দ্বিতীয় বছরে তার ১০% (১ টাকা) সুদ পাবেন আপনি।
(৩) বাজারে বন্ডের দর ওঠা-নামা করে। ফলে ১০০ টাকায় কেনা বন্ড ১০৫ টাকায় বেচতে পারলে, তা থেকেও ৫ টাকা মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব।
এই তিন ধরনের প্রাপ্তি মিলিয়ে যে-মুনাফা হাতে পাবেন, তা আপনার মোট বিনিয়োগের অনুপাতে কতখানি, সহজ কথায় তা-ই হল ওই বন্ডের ইল্ড। পরে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বিশদে ব্যাখ্যা করব আমরা। |
রকমফের |
ইল্ড হিসাব করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। আসুন একে একে সেগুলির উপর চোখ রাখি—
কারেন্ট ইল্ড: নাম থেকেই স্পষ্ট, এতে হিসাব করা হয় যে, এই মুহূর্তে কোনও বন্ড থেকে কেমন ইল্ড পাচ্ছেন। যেহেতু হিসাবটি এই মুহূর্তের, তার মানেবন্ডটি এখনও আপনার হাতে আছে। ফলে তা বেচে মুনাফার মুখ দেখার সম্ভাবনা এখানে নেই। বন্ডের কুপন ফের লগ্নি হওয়ার দরুন প্রাপ্য সুদও এখানে হিসাব করা হয় না। তাই এখানে শুধু বন্ড থেকে যে-মোট কুপন (সুদ) পাচ্ছেন, তা বন্ডের বর্তমান দামের যত শতাংশ, তা-ই হল কারেন্ট ইল্ড। ধরা যাক, ১০০ টাকা দরে এক বছর মেয়াদের একটি বন্ড কিনেছেন। তার কুপন ১০ টাকা। এ বার মনে করুন, এই মুহূর্তে বন্ডটির বাজার দর নেমে এসেছে ৯০ টাকায়। তার মানে: বন্ডটির কারেন্ট ইল্ড=(১০০X১০)/৯০= ১১.১১% (প্রায়)
ইল্ড টু ম্যাচিওরিটি: এ ক্ষেত্রে দেখা হয় গ্রাহক মেয়াদের পুরো সময় বন্ডটি না-বেচে ধরে রাখলে, কেমন ইল্ড পেতে পারেন।
ধরা যাক, বন্ডের দাম ১০০ টাকা। কুপন ১০। মেয়াদ দু’বছর। মনে করুন ইস্যু হওয়ার কিছুক্ষণ বা এক দিন পরেই ৯০ টাকায় সেই বন্ড কিনেছেন আপনি। এবং তা ধরে রাখছেন দু’বছর। সে ক্ষেত্রে প্রথম বছরের শেষে পাওয়া ১০ টাকা কুপনও ফের সেখানে লগ্নি হবে। ফলে মেয়াদ ফুরোলে মোট পাওয়া যাবে (১০০+১০+১১)= ১২১ টাকা (যেহেতু দ্বিতীয় বছরে ১১০ টাকার উপর ১০% হারে কুপন পাবেন। ফলে এখানে ইল্ড টু ম্যাচিওরিটি={(১২১-৯০)/৯০}X১০০=৩৪.৪৪%।
আসলে ইল্ড টু ম্যাচিওরিটির অঙ্ক এত সহজে কষা সম্ভব নয়। সহজ ভাবে বোঝাতেই ব্যাপারটাকে এ ভাবে দেখাচ্ছি আমরা।
রিয়েলাইজড ইল্ড: বাস্তবে কিন্তু অনেক সময়েই গ্রাহক পুরো মেয়াদ বন্ড ধরে রাখেন না। বরং ভাল দর পেলে তা বেচে দেন। ফলে সেই সময় পর্যন্ত পাওয়া কুপন, ওই কুপন থেকে প্রাপ্ত সুদ এবং বন্ড বেচে হওয়া মুনাফা এই তিন ক্ষেত্র থেকে পাওয়া মোট টাকা তাঁর বিনিয়োগের কত শতাংশ, তা-ই হল রিয়েলাইজড ইল্ড। অর্থাৎ, বন্ড বিক্রির ফলে সত্যি সত্যিই ওই ইল্ড পাবেন তিনি। একে টোটাল রিটার্ন-ও বলে। |
কম দামে বাজিমাত |
উপরের পুরো আলোচনা জুড়েই খেয়াল করে দেখুন, যে দরে আপনি বাজার থেকে বন্ড কিনছেন, তা কম হলে ইল্ড-ও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। ফলে বন্ডের দর আর ইল্ড সাধারণত একে অন্যের উল্টো দিকে হাঁটে। অর্থাৎ, দাম বেশি মানে বন্ডের ইল্ড কম (বেশি দামি বা ‘এক্সপেন্সিভ’)। আর দাম কম মানে ইল্ড বেশি (কম দামি বা ‘চিপ’)। তবে এর ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। |
কেনার আগে রেটিং |
এতক্ষণে নিশ্চয় কিছুটা বোঝা গিয়েছে, কেন কোনও বন্ডে টাকা ঢালার আগে তার ইল্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর করি আমরা। কিন্তু শুধু ইল্ড নয়, তার সঙ্গে আরও একটি ব্যাপার গোড়াতেই খুঁটিয়ে দেখা উচিত। তা হল, তার ঝুঁকি।
কারণ, বন্ডে টাকা ঢালা মানে তা কাউকে-না-কাউকে ধার দিচ্ছেন আপনি। তা কোনও সংস্থাই হোক বা সরকার। ফলে ওই ধারের টাকা পরে ফেরত পাওয়ার ঝুঁকি কতখানি, তা-ও তো শুরুতেই দেখে নিতে হবে। আর সেই কারণেই তার ক্রেডিট রেটিং (ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া সংক্রান্ত ঝুঁকির মূল্যায়ন)-কে এত গুরুত্ব দিই আমরা।
কাউকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকির, তারই মূল্যায়ন হল ক্রেডিট রেটিং। রেটিং যত ভাল, তাকে ঋণ দেওয়া তত কম ঝুঁকির। আর তা কমার মানে ধারের টাকা ফেরত না-পাওয়ার ঝুঁকি বাড়া।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর্স (এসঅ্যান্ডপি), মুডিজ, ফিচ ইত্যাদি বহুজাতিক এই মূল্যায়ন করে। ভারতে তা করে ক্রিসিল (এসঅ্যান্ডপি-র শাখা), আইসিআরএ বা ইকরা (মুডিজের শাখা), কেয়ার রেটিংস প্রমুখ।
বন্ডে বিনিয়োগের আগে খতিয়ে দেখুন, তার ক্রেডিট রেটিং কেমন। সাধারণত AAA (ট্রিপল এ) রেটিং মানে তা সব থেকে বেশি সুরক্ষিত। আবার D মানে টাকা ফেরত না-পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ চড়া। তবে সংস্থা ভেদে এই সব চিহ্নের হেরফের হতে পারে। |
অনুমোদন? |
বন্ডে টাকা ঢালার আগে অবশ্যই জেনে নিন, তাতে সেবি ও অন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কি না। খেয়াল রাখুন, সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কোম্পানি বিষয়ক দফতরের নিয়ম-কানুন বাজারে বন্ড ছাড়া সংস্থাটি মানছে তো? |
ডেট ফান্ড |
কেউ হয়তো শেয়ারে লগ্নি করতে চান। কিন্তু বাজার সম্পর্কে প্রতিদিন ওয়াকিবহাল থাকার ক্ষমতা বা সময় তাঁর নেই। সে ক্ষেত্রে ইক্যুইটি নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ড তাঁর ভাল বাজি হতে পারে। ঠিক তেমনই বন্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও যে সরাসরি ঋণপত্রে টাকা ঢালতে হবে, এমনটা নয়। এখানেও ডেট ফান্ডে লগ্নি করতে পারেন আপনি। সে ক্ষেত্রে ওই ফান্ডের ম্যানেজার আপনার হয়ে সেই টাকা খাটাবে বিভিন্ন ঋণপত্রে। |
বন্ড-বৃত্তান্ত |
• বন্ড হল এক ধরনের ঋণপত্র। সরকার, সরকারি সংস্থা কিংবা বেসরকারি সংস্থা যে কেউই তা ইস্যু করতে পারে।
• আপনি যখন বন্ড কেনেন, তখন লগ্নির ওই টাকা আসলে ধার দেন কোনও সরকার বা সংস্থাকে। যার বিনিময়ে আপনাকে ‘কুপন’ (সহজ কথায় সুদ) দেয় তারা। ফলে এ ক্ষেত্রে আপনি ঋণদাতা। আর যিনি বন্ড বাজারে ছাড়ছেন, তিনি ঋণগ্রহীতা।
• কোনও সংস্থার শেয়ার কেনা মানে আপনি অন্তত খাতায়-কলমে তার আংশিক মালিক। বন্ডে কিন্তু তা নয়। এখানে আপনি বড়জোর ঋণদাতা।
• শেয়ারের কোনও মেয়াদ নেই। তাই যত দিন তা না-বেচে হাতে রাখবেন, তত দিন ওই ‘মালিকানা’ ভোগ করতে পারবেন আপনি। কিন্তু অধিকাংশ বন্ডেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা ফুরোনোর পর সুদ-আসল হাতে নিলেই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি।
• সাধারণত ব্যাঙ্ক জমায় সুদ কমলে, হাতফেরতা বাজারে (সেকেন্ডারি মার্কেট) বন্ডের দর বাড়ে। আর সুদ বাড়লে, ঋণপত্রের দাম কমে। কিন্তু মেয়াদ ফুরোনো পর্যন্ত বন্ড ধরে রাখলে, শুরুতে তার যা দাম ছিল, সেই টাকাই ফেরত পাওয়া যায়। সঙ্গে মেলে সুদও। |
ফিক্সড ইনকামের রকমফের |
শেয়ারের যেমন বাজার রয়েছে, তেমনই তা রয়েছে বিভিন্ন ফিক্সড-ইনকামেরও। এ ক্ষেত্রে ফিক্সড ইনকাম বলতে আমরা বুঝি বাজারের সেই সমস্ত প্রকল্পকে, যেখানে লগ্নি করলে প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে সুদ মেলে। এই ধরনের প্রকল্প বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন—
•
ট্রেজারি বিল (টি বিল): বাজার থেকে স্বল্প মেয়াদে টাকা তোলার জন্য নিলামের মাধ্যমে এই বিল ছাড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণত তার মেয়াদ হয় ৯১ থেকে ৩৬৪ দিনের মধ্যে। নিলাম করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
• সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট (সিডি): স্বল্প মেয়াদে টাকা তুলতে সাধারণত এটি ছাড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থা-সহ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা।
• কমার্শিয়াল পেপার (সিপি): এটিও সিডি-র মতোই। তবে তা ইস্যু করে কর্পোরেট সংস্থাগুলি।
• গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি (জি-সেক): মাঝেমধ্যেই টাকা জোগাড়ের জন্য এই পদ্ধতির দ্বারস্থ হয় সরকার। সাধারণত এগুলির নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তাও অনেকটাই বেশি। অনেকের কাছে এটি গিল্ট নামেও পরিচিত।
• কর্পোরেট বন্ড: ব্যবসা চালাতে প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড়ের জন্য প্রায়শই বন্ড ইস্যু করে বিভিন্ন সংস্থা। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি দু’ধরনের সংস্থার বন্ডই এখন বাজারে সংখ্যায় যথেষ্ট। মূলধন বাড়াতে অনেক সময়ে এর হাত ধরে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, গৃহঋণ সংস্থাও।
• কনভার্টিব্ল বন্ড: ইস্যু হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য। সাধারণ নিয়মে, বন্ডের মেয়াদ ফুরোলে, বিনিয়োগের টাকা ফেরত পান লগ্নিকারী। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঋণপত্র শেয়ারে বদলে যাওয়ায় তিনি তা পাবেন না। তখন মিলবে না সুদও। বরং সংস্থা মুনাফা করলে, ডিভিডেন্ডের হকদার হবেন আপনি। বিক্রি করতে হলেও তা শেয়ার হিসেবেই করতে হবে।
• নন-কনভার্টিবল্ বন্ড: যে-বন্ডকে শেয়ারে পরিবর্তন করা যায় না, তাকেই বলা হয় নন-কনভার্টিবল্ বন্ড। ফলে ডিভিডেন্ড পাওয়া কিংবা পরে তা শেয়ারের মতো বিক্রির প্রশ্ন এখানে নেই। |
|
|
|
|
|
|