মিড-ডে মিল খেয়ে বিষ্ণুপুরে অসুস্থ ২৩
মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ২৩ জন প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া। সোমবার রাতে অসুস্থ পড়ুয়াদের বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই রাতে ও এ দিন সকালে চিকিৎসক দল গ্রামে গিয়ে আরও ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা করে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বকডহরা গ্রামে মিড-ডে মিলে প্রাথমিক স্কুলে সোমবার ভাত, সব্জি ও মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়। বিকেল থেকে থেকে একে একে অসুস্থ হওয়ার খবর আসে। হাসপাতালের শিশু ও মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল চতুর্থ শ্রেণির দুই পড়ুয়া আবু সুফিয়ান মন্ডল ও শেখ ইব্রাহিম। তাদের স্যালাইন চলছিল। আবু সুফিয়ানের বাবা আবু সালেম মণ্ডল বলেন, “বিকেল থেকে ছেলের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। এলাকার আরও অনেকের একই অবস্থা হওয়ায় রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি।” বিষ্ণুপুরের সিএমওএইচ সুরেশ দাস বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ওই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বলে অনুমান। সোমবার রাতে ও এদিন সকালে ওই গ্রামে চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছিল। সকলেই ভাল আছে। অসুস্থতার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।” হাসপাতাল সুপার সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “এখানে ভর্তি হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে দুপুরেই ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের পর্যবেক্ষণ করে ছাড়া হবে।”
সোমবার রাতেই হাসপাতালে যান বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক পলাশ সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যান বিডিও (বিষ্ণুপুর) প্রশান্তকুমার মাহাতো ও বিষ্ণুপুরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমনা দে। বিডিও বলেন, “মিড-ডে মিল খেয়ে ছিল ৪০২ জন। কী কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সুমনাদেবী বলেন, “মিড-ডে মিল খেয়ে অন্যেরা সুস্থ থাকলেও ওই ক’জন কেন অসুস্থ হল তা দেখা হচ্ছে।”


মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি
মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। গত ২২ ডিসেম্বর কাঁথি পৌর বাজারের একটি ওষুধের দোকান থেকে বাবা বিমলেন্দু মাইতির জন্য ওষুধ কিনেছিলেন তাঁর ছেলে শ্যামসুন্দর মাইতি। সেই ওষুধ কয়েকদিন খাওয়ার পর গত ২৬ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন রামনগর থানার দক্ষিণ কানপুর গ্রামের বাসিন্দা বিমলেন্দুবাবু। তাঁকে চিকিত্‌সকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে নজরে আসে, ১৯ মাসে আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খেয়েছেন তিনি। শ্যামসুন্দরবাবু এরপর কাঁথির মহকুমাশাসক সরিত্‌ ভট্টাচার্য, মহকুমা পুলিশ অফিসার ইন্দ্রজিত্‌ বসু, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক বলেন, “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগপত্রটি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।” বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাঁথি শাখার সভাপতি জগদীশ দিণ্ডা বলেন, “আমরা অভিযুক্ত ওষুধের দোকানের মালিককে ওই রোগীর চিকিত্‌সার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা করতে বলেছি।” অভিযুক্ত ওষুধ দোকানের মালিক ফোন ধরেননি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.