দুই মহাতারকা। দুই ছবি। একজনের নতুন বছরের যদি শপথ হয় ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব পাওয়া, অন্যজনের শপথ সম্পূর্ণ চোটমুক্ত হয়ে দ্রুত মাঠে ফেরা।
গত কয়েক বছরে ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি। তবু আত্মবিশ্বাসে কোনও ঘাটতি পড়ছে না। বরং ব্যালন ডি’অর তাঁর প্রাপ্য পুরস্কার, সেই কথাই মনে করছেন রিয়াল মাদ্রিদের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বৃহস্পতিবার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের প্যারিস সাঁ জাঁর সঙ্গে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদ। তার আগেই রোনাল্ডো বলেন, “প্রতি বছর ব্যালন ডি’অর জেতার যোগ্য আমি। প্রতি বছরই আমি সব কিছু জিততে চাই। কিন্তু সেটা আমার হাতে নেই।” গত পাঁচ বছর ব্যালন ডি’অরের চূড়ান্ত তালিকায় থাকলেও পুরস্কার জিতেছেন মাত্র একবার। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বমানের ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য আরও অনেক ব্যক্তিগত পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য, সেই কথাই মনে করছেন সিআর সেভেন। “প্রতি বছরই আমি বিশ্বের সেরা তিন ফুটবলারের মধ্যে আছি। ফিফার বর্ষসেরা দলেও আমি ধারাবাহিক ভাবে রয়েছি। আমাকে কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই। যে কেউ আমার পরিসংখ্যান দেখলেই বিচার করতে পারবে, আমি আরও ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার যোগ্য কি না।” ফিফা প্রেসিডেন্ট শেপ ব্লাটারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার পর জল্পনা তুঙ্গে, ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে যাবেন কি না রোনাল্ডো। রোনাল্ডো সরাসরি না বললেও তাঁর কথায় ইঙ্গিত, ফিফা ব্যালন ডি’অর-এ পক্ষপাতিত্বের ছায়া চলেই আসছে! |
এ ভাবেই নিজেকে তরতাজা রাখেন। ফেসবুকে নিজের ছবি পোস্ট করলেন রোনাল্ডো। |
রোনাল্ডোর শপথ যখন বিশ্বসেরার মঞ্চ থেকে এলএম টেনের আধিপত্য শেষ করা, স্বয়ং বার্সেলোনা মহাতারকা তখন বলছেন, “আমার লক্ষ্য এখন স্পষ্ট। আমি চাই তাড়াতাড়ি চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে। সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে কিছু সময় কাটাতে চাই দেখার জন্য যে, কতটা সুস্থ হলাম।” বার্সেলোনা ফিজিও এলভিও পাওলোরোসো ক্লাবকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন, আটলেটিকো মাদ্রিদ ম্যাচেই হয়তো মেসি চোট সারিয়ে ফিরতে পারেন। তবুও চোট নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ মেসি বলেন, “বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে বছরের শেষ দিন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার বার্সেলোনা পৌঁছব। তার পর ক্লাব ডাক্তারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি কবে মাঠে ফিরব।” |