দড়ি, বাঁশ, লোহার চেন—চেষ্টার কসুর করেননি গ্রামবাসীরা। ঘণ্টা সাতেকের চেষ্টায় বিবিধ কসরতের পরে সোমবার সকালে শেষতক কুয়ো থেকে উদ্ধার করা গিয়েছিল মাস ছয়েকের হস্তি শাবকটিকে। তবে চেষ্টাই সার। দল তাকে আর ফিরিয়ে নেয়নি।
মায়ের খোঁজে দলের পিছু পিছু হেঁটেও মন গলানো যায়নি দলপতির। বড় বড় পা ফেলে এক সময়ে জঙ্গলের গভীরে হারিয়ে গিয়েছিল হস্তিযূথ। আর কুয়োর ঠান্ডা জলে পড়ে, ক্লান্ত মা-হারা শাবকটি এক সময়ে মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিল গ্রামের রাস্তায়। মঙ্গলবার শালবনির শ্যামচাঁদপুরের রাস্তায় তার নিথর দেহটি দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
মানুষের স্পর্শ লাগলে হাতিদের সমাজে তার আর ঠাঁই নেই! এ যাবৎ এমনই অভিজ্ঞতা হস্তি বিশেষজ্ঞদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দনকাঠা গ্রামে ওই হস্তি শাবককে উদ্ধারের পরে এ ভয়টাই পেয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু শাবকটিতে দলের কাছাকাছি ঘুরতে দেখে তাঁদের আশা জেগেছিল এ বার বোধহয় ব্যতিক্রম হতে চলল। এ দিন সকালে শাবকটির দেহ মেলার পরে বোঝা যায়, পুরনো রীতিতেই বিশ্বাস রাখল হস্তিকুল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বনাধিকারিক বিজয় সালিমঠ বলেন, “উদ্ধারের পরেও শাবকটির দেহে তেমন কোনও চোট-আঘাত লক্ষ করা যায়নি। কুয়ো থেকে উদ্ধারের পরে স্বাভাবিক ভাবেই হেঁটে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছিল সে। মনে করা গিয়েছিল দল হয়তো তাকে ফিরিয়ে নেবে। কিন্তু হাতিরা তাদের পুরনো রীতিতেই বিশ্বাস রাখল!”
এ দিন, আরও একটি হাতির অনভিপ্রেত মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়শি জেলা বাঁকুড়ার বড়জোরায়। তবে এটি পূর্ণবয়স্ক। জঙ্গেল লাগোয়া গ্রামের মাঠে ঝুলে ছিল বিদ্যুৎবাহী তার। রাতের অন্ধকারে তা ঠাওর করতে পারেনি হাতিটি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গ্রামের পথেই মারা যায় দাঁতালটি। |
গিরগিটি উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
একটি বিরল প্রজাতির গিরগিটি উদ্ধার হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। মঙ্গলবার খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকায থেকে গিরগিটিটি উদ্ধার হয়। ঘটনায় সুমিত দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই যুবক গিরগিটিটি নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। |