ভৌগোলিক অবস্থানই উন্নয়নে প্রধান বাধা। কী ভাবে তা ব্যবহার করে দক্ষিণ দিনাজপুরে রেল যোগাযোগের উন্নতি, সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, সেই ব্যাপার একগুচ্ছ পরিকল্পনা তৈরি করে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে বালুরঘাট আসন থেকে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি দলের জেলা নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে এক মাস ধরে ব্লকস্তরে যে প্রচার অভিযান ও কর্মী সভা শুরু করেন সোমবার বালুরঘাটে আইন অমান্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রথম দফার সেই কর্মসূচি শেষ হল।
পূর্ব ঘোষণা মতো জেলাশাসকের দফতরের সামনে এ দিন দুপুর থেকে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা হাজির হন। আইন আমান্য মঞ্চ থেকে অফিস পাড়ার গোটা এলাকায় ভিড় উপচে পড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের মূল রাস্তা। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ওমপ্রকাশ বলেন, “যাঁরা বলেন কংগ্রেস সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে, তাঁদের (তৃণমূলের) পরিণতি করুণ হবে। সোনিয়া গাঁধীর দৌলতেই রাজ্যে তৃণমূলের উত্থান। আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্য তৃণমূল দায়ী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের পাশে কংগ্রেস দাঁড়াবে। সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকের উপর হামলা হলেও কংগ্রেস পাশে দাঁড়াবে।”
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বার বালুরঘাট লোকসভা আসনে কংগ্রেস এর টিকিটে ওমপ্রকাশবাবুর প্রার্থী হওয়া নিশ্চিত ছিল। প্রচার অভিযানও শুরু করে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত জোটের স্বার্থে তাঁকে সরে যেতে হয়। লোকসভা আসনে প্রার্থী হন জোটের প্রার্থী তৃণমূলের বিপ্লব মিত্র। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ওমপ্রকাশবাবু হাল ছাড়েননি। বংশীহারির অতিকায় তরুণী সিদ্দিকা পারভিন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্টে সমস্যায় পড়া ছোট্ট শিশু ইন্দ্রাশিসের পরিবারের পাশে তিনি দাঁড়ান। সাহায্য করেন কুমারগঞ্জের অতিকায় দুই বালক রাম-লক্ষ্মণের চিকিৎসায়। এ দিন তাই জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “লোকসভা ভোটে ওমপ্রকাশবাবুকে সামনে রেখে কংগ্রেস জেলায় লড়বে।” সারদা কান্ডে সিবিআই তদন্ত, জেলায় অবিলম্বে খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জেলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের মত ১০ দফা দাবিতে এ দিন জেলা কংগ্রেস আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেয়। কয়েক হাজার কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করে পরে তাদের ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বালুরঘাট কলেজে কংগ্রেস ছাত্র নেতা ওমপ্রকাশবাবুর সঙ্গে জেলার মানুষ পরিচিত। জানুয়ারি থেকে জেলার প্রতিটি ব্লকে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করবেন তিনি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের অভিযোগ, “কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতেই জেলার হরিরামপুর, তপন, বালুরঘাট, হিলি ও কুমারগঞ্জ ব্লকে মিথ্যা মামলায় কর্মীদের জড়ানো হচ্ছে। এদিন বিষয়টি জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়েছে।” |