রূপনারায়ণে চোরাচালানকারীদের নৌকার খোঁজে হোভারক্র্যাফট নিয়ে ধাওয়া করলেন অফিসারেরা। গতির কাছে হার মানল দুষ্কৃতীরা। সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের সাত টন রক্তচন্দন-সহ ধরা পড়ল ছ’জন।
রুদ্ধশ্বাস এই নাটকের সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। দক্ষিণ ভারত থেকে ট্রাকে ওই কাঠ এসে পৌঁছোয় মেদিনীপুর ও হাওড়ার সীমানায় কোলাঘাটে। সেখান থেকে তা নৌকায় তোলা হয়। ঠিক ছিল, হলদিয়ায় নোঙর করে থাকবে একটি ট্রলার। সেই ট্রলারে কাঠ তুলে দেওয়া হবে। তা নদীপথে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
কিন্তু আগে থেকেই খবর পেয়ে গিয়েছিলেন ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টালিজেন্স (ডিআরআই) অফিসারেরা। শুল্ক দফতরের একটি লঞ্চে চেপে তাঁরা হানা দেন জলপথে। দূর থেকে তাড়া করা হয় রক্তচন্দন ভর্তি নৌকাকে। ততক্ষণে রাত হয়ে গিয়েছে। চার পাশে ঘন কুয়াশা। সেই সুযোগে নদীর ছোট ফাঁড়িতে ঢুকে হারিয়ে যায় নৌকা। শনিবার সকালে সাহায্য চাওয়া হয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর। হলদিয়ায় তাদের একটি উচ্চ-গতি সম্পন্ন হোভারক্র্যাফট রয়েছে। সেটি নিয়েই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দূরে খাঁড়ির ভিতরে দেখা যায় লুকিয়ে থাকা নৌকাটিকে। হোভারক্র্যাফট দেখে আবার পালানোর চেষ্টা করে চোরাচালানকারীরা। কিন্তু প্রায় চোখের পলকে তাদের কাছে পৌঁছে যান ডিআরআই অফিসারেরা। যে ছ’জন ধরা পড়েছে তাদের চার জনই নোকার মাঝি-মাল্লা। দু’জন পাচারে যুক্ত। যে ট্রলারটির অপেক্ষা করার কথা ছিল, আগে থেকেই বিপদ আঁচ করতে পেরে সেটি পালিয়ে যায়। চন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই।
|
শহর প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত করতে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের নিয়ে প্রচারে নামল ইসলামপুর পুরসভা। সোমবার একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে। পুর আধিকারিকরা ছাড়াও মিছিলে ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল জানান, নতুন বছরের প্রথম দিনই কড়া পদক্ষেপ করবে পুরসভা। ওই দিন থেকে জরিমানা করা শুরু হবে। |