কটূক্তি এবং কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং মুগুর দিয়ে তাঁর মাথা র্ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গোঘাটের মথুরা গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে ওই যুবতীর মা-সহ পরিবারের তিন মহিলাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার সকালের ঘটনা। সকলকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্তের মা-ও ওই যুবতী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত হেমন্ত কারক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, অন্য পক্ষ এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্তের বাড়ি ওই যুবতীর বাড়ির পাশেই। দুই পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। এ দিন সকালেও দুই পরিবারের মহিলাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে বছর ত্রিশের ওই যুবতী জানিয়েছেন, হেমন্ত রাস্তাঘাটে প্রায়ই তাঁকে উত্ত্যক্ত করত এবং অশালীন ইঙ্গিত করত। এ দিন সকালে তিনি যখন জল আনতে যাচ্ছেন, সেই সময়ে হেমন্ত কুপ্রস্তাব দেয় এবং ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাঁর চেঁচামেচিতে মা, দিদি এবং দিদির পুত্রবধূ এসে বাধা দিতে গেলে হেমন্ত তাঁদের মারধর করে। তার পরে যুবতীর মাথায় মুগুর দিয়ে মারে।
ওই যুবতী বলেন, “ও অনেক দিন ধরেই আমাকে বিরক্ত করছিল। সকালে রাস্তা ফাঁকা দেখে ওই কাণ্ড ঘটায়।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হেমন্ত। তাঁর দাবি, “আমি সকালে কাজে বেরিয়েছিলাম। ওরা মাকে মারধর করেছে শুনে দুপুরে ফিরে আসি। আমি তো ঘটনার সময়ে ছিলামই না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” হেমন্তের মা শান্তিদেবীর অভিযোগ, “ওই পরিবারটি চোলাই মদ তৈরি করে। সরকার যখনই ওদের ভাটি ভেঙে দেয়, তখনই ওরা মনে করে আমরা খবর দিয়েছি। তা থেকেই ঝামেলা করে। এ বারও তাই হয়েছে।” তাঁর দাবি, “ওরা আমার চুলের মুঠি ধরে মেরেছে, লাঠিপেটা করেছে। হাতের কাছে মুগুর পেয়ে আমিই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। তাতেই মেয়েটার লেগেছে। ছেলে তখন ছিলই না।”
চোলাই তৈরি নিয়ে শান্তিদেবী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা নিয়ে ওই যুবতী বা তাঁর মা কোনও কথা বলতে চাননি। তবে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতরের সঙ্গে শুক্রবার ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মদের ভাটি ভেঙে দেওয়া হয়। |