চিন সীমান্তে হাজির হবু উপ-সেনাপ্রধান
প-সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে চিন সীমান্ত পরিদর্শন করলেন পূর্বাঞ্চলের সেনা কম্যান্ডার। পূর্বাঞ্চলের সেনা মুখপাত্র গ্রুপ ক্যাপ্টেন তরুণকুমার সিঙ্ঘা জানান, ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল দলবীর সিংহ বৃহস্পতিবার সিকিমে ভারত-চিন সীমান্ত পরিদর্শন করেন। কথা বলেন এলাকায় নিযুক্ত জওয়ানদের সঙ্গে। ওই এলাকায় যুদ্ধ-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও (কোর ব্যাটল স্কুল) ঘুরে দেখেন।
সেনা সূত্রের খবর, দলবীর সিংহ নতুন বছরের শুরুতেই উপ-সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বৃহস্পতিবার তিনি সিকিমের ভারত-চিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ওই এলাকার দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর। ত্রিশক্তি-র কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কমলজিত সিংহ-সহ অন্য সেনা অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। নাথুলা সীমান্তের পাশাপাশি উত্তর সিকিমেরও কয়েকটি সীমান্তে দলবীর সিংহ গিয়েছিলেন বলে সেনা সূত্রের খবর।
পূর্বাঞ্চলের শীর্ষ-কর্তার এই সীমান্ত যাত্রাকে সেনাবাহিনী সাধারণ সফর বলে দাবি করলেও অনেকে অবশ্য অন্য ইঙ্গিত পেয়েছেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, ১৯৬২ সালের পর থেকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়েছে ভারত। সম্প্রতি অরুণাচলপ্রদেশের তেজু ও লাদাখের চুমার সেক্টর দিয়ে চিনা সেনা ভারতে ঢুকে এসেছিল বলেও অভিযোগ। সেনা সূত্রের খবর, ভারতও চিন সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়াতে তৎপর। এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে বিশেষ করে জোর দেওয়া হচ্ছে। সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই এ রাজ্যে নতুন তিনটি ঘাঁটি করছে সেনা। বাড়ানো হচ্ছে পানাগড়-সহ দু’টি সেনা ছাউনির বহরও। এমন পরিস্থিতিতে হবু উপ-সেনাপ্রধানের চিন সীমান্ত সফর বার্তাবহ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেনা সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, সিকিম ততটা স্পর্শকাতর সীমান্ত নয়। বরং নাথুলাকে চিন-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সীমান্ত হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। তবে এই সফরে গিয়ে সিকিম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন দলবীর।

সাংবাদিক নিগ্রহ, তদন্তের নির্দেশ
খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মারধর খেলেন সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহকরা। দিসপুর থানার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। আজ সকালে এসএসপি আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারি দিসপুর থানায় গিয়ে এসপি (অভিযান শাখা)-কে এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, থানার ভিতর ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হবে। অভিযোগকারীরা জানান, গত রাতে মত্ত যুবকদের দু’টি গোষ্ঠীর মারপিট নিয়ে দিসপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর সংগ্রহ করতে বৈদ্যুতিন চ্যানেল ও সংবাদপত্রের সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহকরা থানায় যান। অভিযোগ, সেখানকার দু’জন সাব ইনস্পেক্টরের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। তখনই সাংবাদিকদের উপরে লাঠি চালায় পুলিশ। দু’জনকে মাটিতে ফেলে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন সাংবাদিককে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.