কলকাতার মুখোপাধ্যায় দম্পতি চার বছরের সঙ্ঘমিত্রাকে নিয়ে থেকে এই প্রথম পৌষমেলায় এসেছেন। একরত্তি মেয়ের আবদার মেটাতে কখনও নাগরদোলা তো কখনও টয় ট্রেন, পরক্ষণেই ব্রেক ডান্স! ছুটতে হচ্ছে সবেতেই। হঠাৎই ছন্দ পতন। চিৎকার করে কান্না জুড়েছে সঙ্ঘমিত্রা। কিছুতেই তাকে থামোনো যাচ্ছে না। মেয়েকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দম্পতি। আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলেন। নানা ভাবে থামানোর চেষ্টা করলেন খুদেটাকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তার পর অনেক অনুনয় বিনয়ের পরে মুখ খুলল মেয়ে! এখন নাকি তার সান্তা ক্লজ চাই। যে করেও হোক তাকে সান্তা এনে দিতে হবে। দস্যি মেয়ের আবদারে ফের ছুট লাগালেন দম্পতি!
|
মেলায় মাংস নিষিদ্ধ। স্টল দেওয়ার শর্তে স্পষ্ট করেই তার উল্লেখ করেছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু স্টলে দেদার বিকোচ্ছে চিকেনের নানা আইটেম। বোলপুরের বধূ নন্দিনী চক্রবর্তী সপরিবারে মেলায় এসেছিলেন। মেয়ে অহনার জন্য মোমো কিনতে গিয়ে বিষয়টি তাঁরও নজরে আসে। কেন এমন করছেন? জিজ্ঞাসা করতেই নন্দিনীদেবীকে দোকানদারের সটান জবাব, “আরে দিদি নিয়ম নেই তো কি হয়েছে? লুকিয়ে লুকিয়ে তো অনেক কিছুই হয়!” মেলা কর্তৃপক্ষ যদিও স্টলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার আবার জানিয়েছেন, স্টলগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করে জরিমানা করা হবে।
|
দস্তুর মতো ফকির সেজে ছিনতাই করছিল এক যুবক। মেলায় আসা অনেকেরই মানিব্যাগ হাতাতে পেরেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রাতেই ওই ‘ফকির’কে হাতেনাতে ধরে ফেললেন শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রের আইসি অশোক সিংহমহাপাত্র। ধরা পড়ে অবশ্য চোর বাবাজির আক্ষেপ, “স্যার না থাকলে আজ বড় দাও মেরেই ফেলতাম!” |