টাটকা খবর |
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, ডানা ছাঁটা হল পার্থর
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সরকার গঠনের ঠিক আড়াই বছরের মাথায় মন্ত্রিসভায় বেশ বড় রকমের ঝাঁকুনিই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার রদবদলের সবচেয়ে বড় চমক হল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে শিল্প এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের হাতে যাওয়া। অর্থ দফতরের সঙ্গে আবগারি দফতরের ভার এত দিন অমিতবাবুর হাতে ছিল। এ বার যুক্ত হল শিল্প, শিল্প পুনর্গঠন এবং অধিগৃহীত সংস্থা বিষয়ক দফতর। অন্য দিকে, পার্থবাবুর হাতে থাকল শুধুমাত্র পরিষদীয় এবং তথ্য-প্রযুক্তি দফতর। এ দিন সব মিলিয়ে ১৪টি দফতরে অদলবদল করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচ্য হয়ে ওঠে শিল্প দফতর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ প্রসঙ্গ। |
|
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। |
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অবশ্য এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি পার্থদা দলের মহাসচিব। অনেকগুলো দফতর তাঁর হাতে ছিল। বেশ কয়েকটি মন্ত্রিগোষ্ঠীরও সদস্য ছিলেন। তাঁকে একটু হালকা করে দিতেই শিল্প দফতর থেকে সরাতে হল।” মমতার বক্তব্য, “পার্থদা এখন থেকে আমাকে সাহায্য করবেন। প্রশাসন পরিচালনায় এই কাজও জরুরি। তাঁর হাতে তথ্য-প্রযুক্তি দফতর থাকছে। পরিষদীয় দফতরও থাকছে।” মমতা জানান, সামনেই লোকসভা ভোট। শিল্পমন্ত্রীর ভারী পদের পাশাপাশি পার্থদাকে দলের কাজও করতে হয়। সব কাজে সমান ভাবে সময় দিতে পারেন না তিনি। এখন থেকে দলের কাজেও তাঁকে আমার আরও বেশি দরকার।”
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের পরে এ দিন নবান্নে পার্থবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা ভাল বুঝেছেন তাই করেছেন। দল ও সরকারের মধ্যে প্রধান সমন্বরকারী হিসাবে আমাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দফতর কেমন কাজ করছে, এখন থেকে তার উপর আমি নজরদারি করব।” মন্ত্রী না থাকলেও শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি যে এখনই সরছেন না তা-ও জানিয়ে দেন তিনি। তবে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেডের (এইচপিএল) চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেবেন বলে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন সদ্যপ্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী। পার্থবাবুর কাছে গত আড়াই বছরের শিল্পে সাফল্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়ে দেন, কী হয়েছে, কী হয়নি তার বিচার মানুষ করবে।
অমিত মিত্রের হাতে শিল্প দফতরের দায়িত্ব তুলে দিয়ে মমতা বলেন, “আমরা আরও একটু ভাল করে শিল্প করার জন্য অর্থমন্ত্রীর হাতে দফতরটা দিলাম। বিনিয়োগ টানার এবং শিল্প সম্ভাবনা তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য এগিয়ে যাবে এই আশা রইল।” অমিতবাবুও মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার করে বলেন, “এটা এক নতুন চ্যালেঞ্জ। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বিনীত ভাবে রাজ্যের শিল্পোন্নতির চেষ্টা করে যাব। আমার বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা পূরণে আমার দিক থেকে কোনও ত্রুটি থাকবে না।” এই অদলবদলের ইঙ্গিত অবশ্য গত ২০ ডিসেম্বর টাউন হলের বৈঠকেই মিলেছিল। প্রশাসনিক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, মন্ত্রীদের মূল্যায়ন পর্বে পার্থবাবুর দফতরগুলি নিয়ে সে দিন প্রবল সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
এই রদবদল প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট
চলে গেলে না কি শিল্পে জোয়ার এসেছিল। শিল্পে জোয়ারই যদি আসবে তা হলে শিলমন্ত্রীর পরিবর্তন কেন? মার্কশিটে শিল্প দফতর না কি গোল্লা পেয়েছে! গোল্লা পেলে উন্নয়ন হয়, এটা তো আমার জানা ছিল না।’’ |
|
রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে নতুন জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। |
এরই পাশাপাশি বস্ত্রমন্ত্রী হয়েছেন শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। সুদর্শন ঘোষদস্তিদারের হাত থেকে পূর্ত দফতর নিয়ে তা দেওয়া হয়েছে শঙ্কর চক্রবর্তীকে। সুদর্শনবাবুর হাতে রইল পরিবেশ দফতর। যদিও তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিন মাসের জন্য পরিবেশ দফতর দেখবেন উপেন বিশ্বাস। নূরে আলম চৌধুরীর কাছ থেকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা দফতর। প্রাণিসম্পদের ভার পেয়েছেন স্বপন দেবনাথ। তিনি প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দায়িত্বে উন্নীত হয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রিসভায় প্রবেশাধিকার পাওয়া শশী পাঁজা পেলেন নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর ভার। এ দিন একই সঙ্গে জিটিএ প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন বিমল গুরুঙ্গ।
|
ছবি: দেবাশিস রায়। |
|
বোমা বিস্ফোরণে জলপাইগুড়িতে হত পাঁচ, আহত চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)-এর শহিদ দিবসে জলপাইগুড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। জখম আরও চার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ জলপাইগুড়ি থেকে পাহাড়পুর যাওয়ার রাস্তায় বজরাপাড়ার কাছে ধরধরা নদীর উপর একটি সেতুতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ওই সেতুর উপর দিয়ে এক সাইকেল আরোহী যাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের পর সাইকেলটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় সেতুটির রেলিং-এর একাংশ উড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। আহতদের জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতেরা হলেন রসিদুল ইসলাম (২০), আর্নেস হোসেন (২০), পাপ্পু রহমান (২৩), অঞ্জন রায় (২৫) এবং লালমোহন দেবনাথ (৪২)। রসিদুল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পাপ্পু অ্যাম্বুল্যান্স চালান। জলপাইগুড়ি হাসপাতালে যে দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন, তাঁদের নাম মহম্মদ রাজা এবং সায়ন্তনী সাহা। মহম্মদ রাজার বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই।
যদিও এই ঘটনায় কেএলও-র যোগাযোগের কথা নিশ্চিত ভাবে পুলিশ জানাতে পারেনি। প্রাথমিক ভাবে তাদের ধারণা, ওই সাইকেলেই বিস্ফোরক ভর্তি কোনও ব্যাগ ছিল। সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। |
তারাপীঠের আশ্রমে একই পরিবারের ৬ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারাপীঠ |
ঘরের ভেতরে জোড়া লাগানো দু’টি চৌকির মধ্যিখানে গরম জামাকাপড় পরে ঘুমোনোর ভঙ্গিতে শুয়ে বছর দেড়-দুইয়ের এক শিশুকন্যা। মাথার পাশে রাখা ভাগবত গীতা। চৌকির অন্য প্রান্তে পাশ ফিরে শুয়ে বছর সাতের এক বালিকা। তার ঠিক পাশেই উবুড় হয়ে শুয়ে মাঝবয়সী এক মহিলা। চৌকির নীচেই মেঝেতে জড়াজড়ি করে শুয়ে এক কিশোরী ও বালিকা। দূরেই পড়ে বছর পঁয়তাল্লিশের এক ব্যক্তি।
প্রত্যেকেই নিষ্প্রাণ।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি আশ্রমের অতিথি নিবাসের ঘরে একই পরিবারের ছয় সদস্যের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল তারাপীঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কীটনাশক খেয়ে চার মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, আশ্রমের ওই ঘর থেকে পাওয়া ভোটার ও প্যান কার্ড এবং আশ্রমের রেজিস্টার থেকে ওই দম্পতির পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃত বিজয়শঙ্কর মিশ্র (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী কালিন্দী মিশ্র (৪২) আদতে গুজরাতের সুরাত জেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে থাকতেন বিহারের পটনা জেলার খেমানি চকে। পুলিশ ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দিতে লেখা ওই নোটে আর্থিক দুরবস্থার কারণে আত্মহত্যার কথা লেখা রয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, এটি আত্মহত্যারই ঘটনা। খাবারে বিষ মিশিয়ে না অন্য কোনও ভাবে হয়েছে, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে।” ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের সূত্রে বিহারে থাকা ওই পরিবারের আত্মীয়দের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করতে পেরেছে। তাঁরা তারাপীঠের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
|
খালেদা জিয়া কি ‘গৃহবন্দি’, বিতর্ক বাংলাদেশে
সংবাদ সংস্থা |
খালেদা জিয়া ‘গৃহবন্দি’ কি না, এই প্রশ্নেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে বাংলাদেশে।
আগামী
৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবারই সেনা নামে বাংলাদেশে। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধেই এই সেনা মোতায়েন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘিরে রেখেছে দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ।
সরকারপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থের কথা বললেও তাঁকে কার্যত ‘গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। তাদের অভিযোগ, দলীয় সমর্থক, দর্শনার্থী-সহ বাইরের কাউকেই খালেদার বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বুধবার সন্ধ্যায় অবশ্য দলীয় দফতরে যান খালেদা। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে বৈঠকও করেন। পরে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনের বিরোধিতা করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় এক জনসভার ডাক দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। তার আগেই সরকারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিরোধীরা। খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা শামশের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গতকাল থেকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে।’’ যদিও পুলিশ সূত্রে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। বরং পুলিশ জানায়, খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের অন্য নেতাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিকে বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি পাহারা। |
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও আগামী ১৫ দিন বাংলাদেশের রেলপথ ও গুরুত্বপপূর্ণ সড়কগুলির নিরাপত্তা ও যান চলাচলের দায়িত্বেও থাকবে সেনাবাহিনী। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা সাহায্য চেয়ে গত রবিবারই চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ জুড়ে সেনা মোতায়েন করার অনুরোধ জানানো হয়। প্রায় ৫০ হাজার সেনা এই কাজে সাহায্য করছেন বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে।
তবে নির্বাচনের সময়ে বাংলাদেশে সেনা মোতায়েন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ২০০৮-এর নির্বাচনেও ১২ দিনের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস এম আসাদউজ্জামান জানান, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৯টিতেই সেনা মোতায়েন থাকছে। আপাতত জেলা সদর দফতরে রাখা হচ্ছে তাদের। |
|
মোতায়েন করা হচ্ছে সেনা। |
তবে এর মধ্যেও বাংলাদেশে হানাহানি অব্যাহত। বৃহস্পতিবার সকালে বোয়ালি থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হয়েছেন ৯ পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মধ্য কুমিল্লায় একটি সরকারি দফতরে আগুন লাগিয়ে দেয় এক দল দুষ্কৃতী। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। |
ছবি: এএফপি। |
পূজারা-বিজয়ের ব্যাটে ভর করে সুবিধাজনক জায়গায় ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মুরলি বিজয় এবং চেতেশ্বর পূজারার ব্যাটিংয়ের দৌলতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত। ধবন তাড়াতাড়ি ফিরলেও এই দু’জনের ব্যাটিং ভরসা জোগাচ্ছে ভারতকে।
ডারবানে বক্সিং ডে টেস্টে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। জোহানেসবার্গে ভারতের তরুণ ব্রিগেডের ব্যাটিং বিক্রম তো ছিলই, সঙ্গে ডারবানের পিট কিউরেটর উইলসন এনগোবেসের তৃতীয় দিন থেকে বল ঘোরার ভবিষ্যতবাণী। ফলে বৃহস্পতিবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি ধোনি। গত পাঁচ বছরে এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট রেকর্ড ভাল নয়। শেষ পাঁচটির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে দলের প্রধান স্পিনার অশ্বিনের বদলে দলে এসেছেন রবীন্দ্র জাডেজা। বাকি দল অপরিবর্তিত রয়েছে। |
হতাশ
ফিরছেন ধবন। ছবি: এএফপি। |
ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধবন এবং মুরলি বিজয় শুরুটা ভালই করেন। স্টেইন এবং ফিল্যান্ডারকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই
খেলেন তাঁরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দলের রান ত্রিশের কোটায় পৌঁছে যায়। তবে ব্যক্তিগত ২৯ রান করার পর প্রথম টেস্টের মতো ডারবানেও অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে মর্কেলের বলে আউট হন শিখর ধবন। প্রথম উইকেটের পতনে মাঠে আসেন প্রথম টেস্টে শতরানকারী চেতেশ্বর পূজারা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৭৬ রান। বিরতির পর দুই সেট ব্যাটসম্যান দ্রুত গতিতে রান তোলেন। দিনের ৩০ ওভারের মাথায় দলের ১০০ রান ওঠে। দুই ব্যাটসম্যানই কিছু দৃষ্টিনন্দন শট উপহার দেন। ৩৪ ওভারের মাথায় কালিসকে একটি অসাধারণ স্কোয়্যার কাট মেরে অর্ধশতরান পূরণ করেন বিজয়। ৪৩ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে ১০০ রান তোলেন তাঁরা। বারবার বোলার পাল্টেও কাঙ্খিত উইকেট অধরা থেকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের। ম্যাচের ৬১ তম ওভারে খারাপ আলোর জন্য বন্ধ হয়ে যায় প্রথম দিনের খেলা।
|
|
মাঝরাতে হোটেলে ঢুকে জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ
সংবাদ সংস্থা |
গভীর রাতে হোটেলে ঢুকে জম্মু-কাশ্মীরের রঞ্জি দলের খেলোয়াড়দের ঘরে তল্লাশি চালাল পুলিশ। পরে তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বুধবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ রাজ্য পুলিশের একটি দল জম্মুর একটি় হোটেলের ঘরে ঘরে তল্লাশি শুরু করে। খেলোয়াড়রা ছাড়াও হোটেলের ঘরে থাকা প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিচয় দেওয়ার পরও খেলোয়াড়দের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে যায় পুলিশ।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে় জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার প্রেসিডেন্ট মনজুর ওয়াজির বলেন, “রাত ১টায় খেলোয়াড়দের ঘর থেকে বার করে তল্লাশি চালানো এবং জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় আমরা বিস্মিত! জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটারদের এই অপমান মেনে নেওয়া যায় না। নিজেদের রাজ্যে এ ভাবে অপদস্ত হতে হবে ভাবিনি।” রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটি একটি ‘রুটিন চেক-আপ’। এক জঙ্গির সম্বন্ধে খবর পেয়েই হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
|
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি, লুঠপাট গাজিয়াবাদে
সংবাদ সংস্থা |
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সাইবাবাদ এলাকায় বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে ও দুই মহিলার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক লুঠপাট চালায় ৩ দুষ্কৃতী।
পুলিশ জানিয়েছে, সিআরপিএফ-এর অবসরপ্রাপ্ত এক এডিজি-র স্ত্রী ও বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এক আধিকারিকের স্ত্রীর উপর হামলা চালায় তারা। এ দিন সকালে লাজপত নগরে বাড়ির সামনে প্রাতঃভ্রমণের সময় আচমকাই তাঁদের সামনে চলে আসে তিন অচেনা মোটরবাইক আরোহী। দুই মহিলার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁদের কাছ থেকে কানের দুল, আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় তারা। কিছু দূর গিয়েই তারা এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পথ আটকায়। সঙ্গে থাকা ল্যাপটপটি চাইলে তা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর মাথায় গুলি করে হামলাকারীরা। আহত ম্যানেজারকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি-র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
ভূস্বর্গে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, হত ১
সংবাদ সংস্থা |
বৃহস্পতিবার ভোরে কাশ্মীরের বদগাম জেলায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে এক জঙ্গি।
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ছাদুরা এলাকার হুশরু গ্রামে হানা দেয় পুলিশ-সেনা যৌথ বাহিনী। তল্লাশি শুরু করতেই নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় জওয়ানরাও। ঘটনাস্থলেই মারা যায় এক জঙ্গি, তার পরিচয় জানা যায়নি। তার সঙ্গীদের খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। সংঘর্ষে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী হতাহত হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
|
প্যারোলে ছাড়া পেলেন বেয়ন্ত সিংহের হত্যাকারী
সংবাদ সংস্থা |
বৃহস্পতিবার ২৮ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বেয়ন্ত সিংহের হত্যাকারী গুরমিত সিংহ। সমাজকর্মী গুরবক্স সিংহ খালসা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্যারোলে মুক্তির দাবিতে গত ৪১ দিন ধরে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অনশন করছিলেন। মূলত, তাঁর এই আন্দোলনের সামনে নতিস্বীকার করে প্যারোলে ছাড়া হল গুরমিতকে।
১৯৯৫ সালের অগস্ট মাসে চণ্ডীগঢ়ে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পঞ্জাবের তত্কালীন
মুখ্যমন্ত্রী বেয়ন্ত সিংহের। সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য পঞ্জাবের পুলিশ প্রধান কেপিএস গিল এবং তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
|
অ্যাসেজ: চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অ্যাসেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনেই ৬ ইংরেজ ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে ৪-০ করার পথে আরও খানিকটা এগিয়ে গেল অজিরা। এক দিকে নেতৃত্ব, অন্য দিকে দলের সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে নামা ‘ক্যাপ্টেন কুক’ ২৭ রান করে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্য ওপেনার কারবেরি ১৪৫ বলে ৩৮ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেললেও সেট হয়ে ওয়াটসনের বলে বোল্ড হন। জো রুট, ইয়ান বেল, স্টোকস প্রত্যেকেই বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে টানছেন কেভিন পিটারসেন। তাঁর সঙ্গে দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন টিম ব্রেসনান। |
ইয়ান বেলকে ফিরিয়ে উল্লাস রায়ান হ্যারিসের। ছবি: এএফপি। |
অস্ট্রেলিয়ার চার পেসার
৬টি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন। রায়ান হ্যারিস এবং বিধ্বংসী ফর্মে থাকা মিচেল জনসন নিয়েছেন দু’টি করে, ওয়াটসন এবং পিটার সিডেল নিয়েছেন একটি করে। তবে দিনের শেষে ইংল্যান্ডের কাছে একটাই সান্তনা— চোটের জন্য খেলার মাঝপথেই মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন শেন ওয়াটসন। চোট কতটা গুরুতর তা এখনও জানা যায়নি। ইংল্যান্ডের ‘ভাগ্য’ ভাল হলে টেস্টের বাকি চার দিন অস্ট্রেলিয়াকে দশ জনে খেলতে হতে পারে। তবে ছুটির মরসুমে মেলবোর্নে দর্শকরা নতুন রেকর্ড গড়েছেন। প্রথম দিনে তাঁদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৯১, ০৯২। এর আগে ১৯৬১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৯০, ৮০০ দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন। ৫২ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিনের শেষে দর্শকরাই আসল চ্যাম্পিয়ন। |
|