মাওবাদী দমনে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপর গুরুত্ব দিলেন সিআরপি-র ডিজি দিলীপ ত্রিবেদী। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিলেন তিনি। লালগড়ে সিআরপি-র ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হেড কোয়ার্টারে এক বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিআরপিএফের আইজি (হেড কোয়ার্টার) জুলফিকার হাসান, আইজি বিবেক সহায় প্রমুখ। ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুশান্ত চক্রবর্তী প্রমুখ। বৈঠক শেষে দিলীপ ত্রিবেদী বলেন, “জঙ্গলমহলে সিআরপি থাকবে। মাওবাদী দমনে ভাল কাজ হয়েছে। এ জন্যই মাওবাদীরা চাপে রয়েছে।” এ দিন কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে লালগড়ে আসেন সিআরপি-র ডিজি। তাঁর মতে, মাওবাদীরা রাজ্যের সীমানা মানে না। যেখানে চাপে পড়ে, সেখান থেকে অন্যত্র সরে যায়। তাই মাওবাদী প্রভাবিত সব রাজ্যের সঙ্গে সমতা বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। দিলীপবাবুর কথায়, “আমরা ভারসাম্য রেখে মাওবাদীদের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।” এ রাজ্যে কি মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে ডিজি জানান, মাওবাদী মোকাবিলায় নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
এ রাজ্যের জঙ্গমহলে মাওবাদী সক্রিয়তা এখন থিতিয়েছে। কিষেনজির মৃত্যুর পরে গত দু’বছরে কোনও নাশকতাও ঘটেনি। তবে বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে মাওবাদী তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। এক সময় জঙ্গলমহল মাওবাদী ও জনগণের কমিটির নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফলে, পথঘাট সবই ওদের চেনা। তাই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা সতর্ক আছি।” |