শুরুর আগে বড় বড় কথা। আর আসল সময় ডাহা ফেল! পর্যটকদের ধুলোর হাত থেকে বাঁচাতে সব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বোলপুর পুরসভা ও মেলা কর্তৃপক্ষ। কথা ছিল, দু’বেলা মেলা চত্বর ও লাগোয়া রাস্তায় জল দেওয়া হবে। কিন্তু অভিযোগ, পুরসভার গাড়ি মোটে এক বেলা জল ছিটোচ্ছে। তা-ও এত কম যে কাজের কাজ হচ্ছে না। রিষড়া থেকে আসা শান্তনু দত্তের আক্ষেপ, “ধুলোর চোটে মেলা ঘোরায়ই দায়।” শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, “আসলে মেলায় ভিড় এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে জল ছিটিয়েও কুল পাওয়া যাচ্ছে না! ফের ধুলো ছড়াচ্ছে।”
|
পৌষমেলায় খেল দেখাচ্ছেন বুড়ো কার্ল মার্ক্স! তাঁর চাহিদা নাকি এমন, সব বই ফুরিয়েছে প্রথম দিনেই। অন্তত এমনই দাবি মেলায় সিপিএমের দেওয়া স্টলের হর্তাকর্তাদের। দলের বোলপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক মানব রায়ের দাবি, “কখনও মার্ক্সের বইয়ের এমন চাহিদা দেখিনি!” সরকারি ভাবে পৌষমেলা চার দিনের। সেই হিসেব করেই বই এনেছিলেন তাঁরা। জোগান ফুরনোয় এখন মাথায় হাত। এক নেতার ব্যাখ্যা, “রাজ্যে আমাদের ভরাডুবি হলে কি হবে! মার্ক্সকে নিয়ে বাঙালি যুব প্রজন্ম বরাবরই আগ্রহী।” ক্রেতাদের ফেরাতে ফেরাতে এখন হাত কামড়ানো ছাড়া আর কী-ই বা তাঁদের করার আছে?
|
কদর আছে। বিক্রিও প্রচুর। তবু, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন পটশিল্পীরা। গ্রামবাংলার ওই শিল্পীদের ক্ষোভ, পরিশ্রমের তাঁরা বিনিময়ে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পটশিল্পীদের এমনই ৩২টি পরিবার এসেছেন। ঘাটালের ময়না চিত্রকর, দাসপুরের জয়দেব চিত্রকররা বলছেন, “পটচিত্র আঁকতে কত পরিশ্রম হয় বলুন তো? এখন তো রঙের দামও অনেক বেড়েছে। আমরা সামলাই কি করে?” তাঁদের দাবি, শিল্প বিক্রি করে যে আয় হচ্ছে, তাতে বড়জোর যাতায়াতের খরচটুকুই উঠবে। তাতে গোটা সংসারের পেট ভরবে কি? |