টুকরো খবর
শিশুকে পুড়িয়ে মারল মা-বাবা

২৪ ডিসেম্বর
দেবতাকে ‘তুষ্ট’ করতে ছ’মাসের পুত্রসন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে মারল মা-বাবা। সেখানে হাজির ছিল অসহায় শিশুটির মামা’রাও! অন্ধবিশ্বাসের বশে এমনই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে শিবসাগরের সোনারিতে। শিশুর আর্তনাদ, পোড়া মাংসের গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকার লোকজন। আজ সকালে মাটি খুঁড়ে শিশুটির দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে স্ত্রী রঞ্জুদেবীকে নিয়ে সোনারির ধাঙ্গা রোডে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা ছোটু সাহ। তিন বছরের মেয়ে এবং ছ’মাসের যমজ দু’টি ছেলেও ছিল তাদের সঙ্গে। জন্মের পর থেকেই যমজ দুই ভাই অসুস্থ ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, রঞ্জুদেবী কয়েকদিন আগে ছোটুকে জানিয়েছিল, দেবী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন, এক পুত্রসন্তানকে আগুনে উৎসর্গ করে দেবীর পূজা করলে, অন্য সন্তান রোগমুক্ত হবে। না হলে, দু’জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত। এরপরই, এক তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। সব কথা জানত রঞ্জুদেবীর ভাই সন্তোষ, সুনীল ও বিজয়। গত রাতে সোনারিতে তাদের বাড়িতে পুজো হয়। যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ডে এক ছেলেকে ফেলে দেয় রঞ্জুদেবী। শিশুটির আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশিরা। পোড়া মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাচ্চাটির দেহ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জেরার মুখে সব কথা স্বীকার করেন ছোটু।

কৃষক বিক্ষোভে আটকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি
কৃষকদের বিক্ষোভে মূল প্রবেশপথের বদলে অন্য রাস্তা দিয়ে রাজ্য সচিবালয়ে ঢুকলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আজ ভুবনেশ্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘পিলিন’ ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ‘নবনির্মাণ কৃষক সংগঠনের’ সদস্যরা। তাতে থম্‌কে যায় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কনভয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর গাড়ি সচিবালয়ের পিছন দিকের দরজার দিকে ঘুরিয়ে দেন। পরে, লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ২৬ জনকে। সংগঠনের নেতা অক্ষয় জানিয়েছেন, পিলিন ঘুর্ণিঝড়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছেন অনেক কৃষক। তাঁদের জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। চলছে অনশনও। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী কল্পতরু দাস আজকের বিক্ষোভকে ‘সন্ত্রাস’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই সংগঠনের কেউ-ই কৃষকদের প্রতিনিধি ছিলেন না।

দুই জঙ্গি খুন
বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আচিক টাইগার ফোর্স’-এর এক সদস্যকে খুন করল জিএনএলএ। আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রাতে পূর্ব গারো হিল জেলার নোকমা রাকান গ্রামে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র জিএনএলএ জঙ্গিরা। লাকসন মারাক ও তার বন্ধু অনিল মারাককে ঘর থেকে টেনে বের করে আনে তারা। বন্ধুর বাড়িতে বড়দিনের উত্‌সবে গিয়েছিল অনিল। দু’জনই এটিএফ জঙ্গি। লাকসনকে সকলের সামনে গুলি করে মারা হয়। অনিলকে ডাওয়াগিট্টিংগ্রে গ্রামের রাস্তায় গুলি করে ফেলে রেখে যায় অন্য গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। পুলিশ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে। প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতিতে থাকা এএনভিসি সংগঠনের শিবির থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে এটিএফ গঠন করে কয়েকজন। গারো পাহাড়ে জিএনএলএ-র শক্ত ঘাঁটিতে তারা তোলাবাজি, অপহরণ করছিল।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরসাইকেল সওয়ার দুই ভাইয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে মোটরসাইকেলে কাছাড় জেলার দিগরখাল থেকে কালাইন যাচ্ছিলেন নন্দন দাস (২০) ও পরিমল রায় (২৩)। তখনই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলের পিছনে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন দু’জন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.