শৈল শহর থেকে, তোর্সা পাড়ের রাজার শহর। বড় দিনের তিন দিন আগে ঠান্ডায় জুবুথুবু দার্জিলিং থেকে কোচবিহার। কুয়াশা ঢাকা পাহাড়-সমতলে সোমবার দিভর সূর্যের আলোর তীব্রতা ছিল অনেকটাই কম। দিনের বেলা কুয়াশা ঘেরা থাকলেও, সোমবার শীত রাত ছিল বেশ ঝলমলে। বড় দিনের প্রস্তুতির রঙিন আলোর মালা দার্জিলিং সহ সমতলের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি বাজারে দেখা গিয়েছে। |
কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে। এ দিন সকালে তুফানগঞ্জের মারুগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি দুটি ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় সুরেশ যাদব (২৫) নামে এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা জাতীয় সড়কে দৃশ্যমানতা না থাকারে ফলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কুয়াশা-জাঁকিয়ে ঠান্ডার জন্য এ দিন সকাল তেকেই কোচবিহার জুড়েই ছিল ‘চড়ুইভাতির মেজাজ’। সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা শুরু হলেও, এদিন শীতের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি। এই শীতে যাতে দুঃস্থদের কোন সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কোচবিহারের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। প্রায় সারাদিন ধরেই শহর ছিল কুয়াশাছন্ন। বেলা ১২টা পর্যন্ত কুয়াশায় শহর ছিল আচ্ছন্ন। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও এ দিন কম ছিল। কোচবিহার টাউন হাইস্কুলের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় ডাকুয়া, “শৈত্য প্রবাহের কারণেই তাপমাত্রা কমে গিয়েছে।” কোচবিহারের রসিকবিল থেকে গোসানীমারি সর্বত্রই চড়ুইভাতির আয়োজন দেখা গিয়েছে এ দিন। এ দিন সোমবারই গোসানীমারিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দুটি কটেজ সংস্কার করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। পাশাপাশি পাড়ার মোড় থেকে ক্লাবের মাঠ, রাতে হুল্লোড় করে শীত উপভোগের সঙ্গে একই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার হিড়িক পড়ে যায় এ দিন। বাজারে মাংসের দামও এ দিন বেড়ে যায় বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। সন্ধ্যে নামতেই রেলস্টেশন থেকে বাজারের অলিগলিতে আগুন ঘিরে বাসিন্দাদের বসে থাকার দৃশ্য দেখা যায়।
দার্জিলিঙে এ দিনের তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রির আশেপাশে। দার্জিলিং থানা, রেল স্টেশনের পাকদন্ডি পথের চারপাশে আগুন তাপানোর দৃশ্য যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনই শীতের সকালে গরম কফি বা উষ্ণ পানীয়ের আস্বাদ নিতে রেস্তোরাঁ পানশালাতেও পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়েছে। |