রাত পাহারাদারকে ঘরে আটকে রেখে টেলিফোন দফতরে ঢুকে প্রচুর পরিমাণ তামার তার এবং ব্যাটারি লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় এলাকায় রাত পাহারায় থাকা ছয় গ্রামবাসী গ্রামবাসীরা (আরজি পার্টি) পথ আগলে দাঁড়ালে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির ধনেখালির বেলমুড়িতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ২টো নাগাদ ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ছুরি, হাতুড়ি, শাবল নিয়ে বেলমুড়ির হাটতলায় ওই টেলিফোন দফতরে হানা দেয়। পাহারাদারকে আটকে রেখে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে তারা। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি ভেঙে তা থেকে প্রচুর পরিমাণ তামার তার বের করে নেয়। তার পরে পড়ে থাকা বেশ কিছু ব্যাটারিও হাতিয়ে গাড়ি করে চম্পট দেয় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। টেলিফোন কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানায়।
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই জেলা থেকে শুক্রবার চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের নবপল্লির বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাসকে ওই রাতে বাদুড়িয়ার আবালিয়ায় সন্দেহজনক ভাবে একটি স্কুলের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে আটক করে পুলিশ একটি রিভলভার এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের ফেরিঘাট থেকে হাফিজুল গাজি, আব্দুল হক লস্কর, মহম্মদ সাবির হোসেন সর্দার নামে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকলেরই বাড়ি বাসন্তীর ভাঙনখালি এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি নাইন এমএম, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি বোমা। শনিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
|
পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পড়শি যুবককে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল চুঁচুড়া আদালত। শনিবার আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় কোর্টের বিচারক মালতি কর্মকার দাদপুরের গোস্বামী-মালিপাঁচঘড়ার ভাগাড়পাড়ার বাসিন্দা শ্যামসুন্দর বাউল দাস নামে ওই যুবককে এই সাজা শোনান। ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসেরও নির্দেশ হয়েছে। সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১২ সালের ১৬ মে ওই যুবক শিশুটিকে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি জ্ঞান হারালে তাকে ফেলে রেখে সে পালায়। পরে বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
|
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার ইলছোবা-দাসপুর পঞ্চায়েতের জঙ্গলপুর গ্রামে। রাত ১০টা নাগাদ খড়ের ছাউনি দেওয়া ওই তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। গ্রামবাসীরাই আগুন নেভান। সিপিএমের লোকজনই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূলের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে ধরা হয়েছে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি। |