রবিবাসরীয় প্রবন্ধ ১...
সত্যি হলেও গল্প
নাত্সি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দিজীবন। গ্যাস চেম্বারে আসন্ন মৃত্যুর প্রতীক্ষা। অতঃপর মুক্তি। এবং নবজন্ম। আমেরিকায় অধ্যাপনা। বইপত্র লেখালেখি। নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ। এক জীবনে এত সব দেখেছেন এলি ওয়াইজেল। হিটলারের কারাগারে মানবতার চরম লাঞ্ছনা দেখেও যিনি আস্থা হারাননি শুভবুদ্ধিতে, তাঁকে নোবেল কমিটি বলেছেন ‘মানুষের দ্বারে অপেক্ষমাণ দূত’। এই মানুষটি তাঁর উপলব্ধি ব্যক্ত করেছেন কয়েকটি বাক্যে। লিখেছেন, ‘যে কোনও মানুষকে কায়াহীন এক বস্তুপিণ্ড হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং আমাদের ভাবা উচিত, প্রত্যেকের মাঝে লুকিয়ে আছে এক একটি বিশ্ব। যেখানে বাসা বেঁধেছে হরেক রহস্য, সম্পদ, স্মৃতি, বেদনা এবং খানিকটা জয়।’
ওয়াইজেল-এর মহার্ঘ উপলব্ধি মনে পড়ল এক খবরে। যে সংবাদের কেন্দ্রে এক ব্যক্তি। তিনি নারী। জীবিত নন; ছয় দশক আগে প্রয়াত। জীবিতকালে ছিলেন না দেশের প্রেসিডেন্ট। কিংবা হলিউড অ্যাকট্রেস। ছিলেন নিতান্ত সাধারণ। নিচু তলার এক জন। তবুও তিনি স্মরণীয়া। আজও। এতটাই যে, এই এত দিন পরে এখন সেই অখ্যাতনামা নারীর কিস্‌সা নিয়ে তৈরি হচ্ছে হলিউড ফিল্ম। প্রযোজিকা ওপ্‌রা উইনফ্রে। ৬২ বছর ধরে যিনি কবরে শয়ান, তাঁর এই আকস্মিক সেলিব্রিটি স্টেটাস! হবেই। সাধারণ হয়েও সেই নারীর জীবন যে আস্ত একটি ভুবন। আর সে ভুবনে যে ভিড় করে আছে স্মৃতি, বেদনা, রহস্য, সম্পদ এবং খানিকটা জয়। আজ শোনা যাক সেই নারীর আখ্যান। নাম যাঁর হেনরিয়েটা ল্যাক্স।
জন্ম ১৯২০ সালের ১ অগস্ট। আমেরিকায় ভার্জিনিয়া প্রদেশের রোয়ানোকি গ্রামে। পিতৃপুরুষ আফ্রিকা থেকে আসা ক্রীতদাস। পরে দাসপ্রথা লোপ পেলে তামাকের খেতে ভাগচাষি। বংশপরম্পরায় কালো চামড়ার মানুষ। দারিদ্রের সঙ্গে নিত্য লড়াই। অশিক্ষা জন্মসঙ্গী সকলের। এ হেন পরিবারে পৃথিবীর আলো প্রথম দেখল যে মেয়ে, তার নাম হেনরিয়েটা নয়, লোরেটা। বাবা জনি প্লিজান্ট। মা এলি প্লিজান্ট। জনি চূড়ান্ত মদ্যপ। এবং রগচটা। বউদি এলি-র সঙ্গে ফস্টিনস্টি করেছে শুনে নিজের ভাইকে পিটিয়ে খুন। দশম সন্তান প্রসবকালে এলি-র মৃত্যু। দশটি বাচ্চা নিয়ে মদ্যপ জনি জেরবার। রেগেমেগে সব ক’টাকে শ্বশুরবাড়ি পাচার। শ্বশুর টমি ল্যাক্স আশ্রয় দিলেন মা-হারা দশটি নাতি-নাতনিকে। লোরেটার বয়েস মাত্র চার বছর।
দাদু টমি-ও তামাক চাষি। তাঁর পরিবারে এক দঙ্গল তুতো-ভাইবোনদের সঙ্গে ওই বয়েসেই খেতের চাষে নামল লোরেটা। ডাকনাম জুটল একটা। হ্যানি। সেটাই পরে হেনরিয়েটা। শৈশব পেরিয়ে কৈশোর। খেতে পাশাপাশি কাজ করতে করতে জুটল ভালবাসার মানুষ। মামাতো দাদা ডেভিড ল্যাক্স। চার্চে গিয়ে বিয়ে করার আগে তিন সন্তান প্রসব। প্রথম সন্তানের জন্মের সময় হেনরিয়েটার বয়েস ১৪। আর বিয়েটা ২০ বছরে। বিয়ের পর আরও দুই সন্তান। অবশ্য এর মধ্যে স্বামীর হাত ধরে ভার্জিনিয়া ছেড়ে মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর কাউন্টি’তে। ডেভিড সেখানে স্টিল প্ল্যান্টে শ্রমিক।
দিন কাটছিল আনন্দে। হঠাত্‌... হেনরিয়েটার তলপেটে যন্ত্রণা। রক্তক্ষরণ। কালা আদমিদের চিকিত্‌সার কাছাকাছি হাসপাতাল বলতে জনস হপ্কিনস। দৌড়ে সেখানে। শনাক্ত হল কালান্তক ব্যাধি। সারভিক্স (গর্ভাশয়ের মুখ)-এর ক্যানসার। চিকিত্‌সা বলতে তেজস্ক্রিয় রশ্মিতে রোগাক্রান্ত অঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা। কালো হয়ে গেল দেহের অনেকটা। যন্ত্রণায় কাতরানি। সব শেষ হল ১৯৫১ সালের ৪ অক্টোবর রাত সওয়া বারোটায়। হেনরিয়েটার বয়স তখন ৩১।
না, সব শেষ হল না। বরং, বলা যায়, শুরু হল এক নতুন অধ্যায়। বিজ্ঞান গবেষণায়। হেনরিয়েটার মৃত্যুর ক’দিন আগে, তাঁকে কিছু না জানিয়ে, এক সার্জন কেটে নিয়েছিলেন মহিলার ক্যানসারাক্রান্ত সারভিক্স-এর কিছু কোষ। পরীক্ষা করবেন বলে। সেই কোষ মানে, তার বংশধর ৪২ বছর পর আজও জীবিত। বস্তুত, তা অমর। আর, সবচেয়ে বড় কথা, হেনরিয়েটা কবরে চলে গেলেও, তাঁর দেহের ওই অমর কোষ বিপ্লব ঘটিয়েছে চিকিত্‌সাবিজ্ঞানে।
যে কোনও প্রাণীর মতো মানুষের দেহও অগণিত কোষের পাহাড়। কোষ যেন এক অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরি। শতেক কাজ-কারবার তার অন্দরে। মানুষের রোগব্যাধি আসলে তার দেহকোষের কাজ-কারবারে গোলমাল। দুনিয়া জুড়ে চিকিত্‌সাবিজ্ঞানীরা তাই উঁকি মেরে দেখতে চান কোষের ভেতরটা। মানে, নানা রকম পরীক্ষা করতে চান তা নিয়ে। করবেন কী করে? প্রাণিদেহের বাইরে টেস্ট টিউবে কোষ বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছিল না যে।
ব্যতিক্রম হেনরিয়েটার দেহের ওই ক্যানসারাক্রান্ত কোষ। তা নিয়ে পরীক্ষায় বসে বিজ্ঞানীরা অবাক। তা মরছে না টেস্ট টিউবে। বরং, উপযুক্ত খাবার পেলে, বংশবৃদ্ধি করছে পিলপিলিয়ে। ব্যস, গবেষকদের হাতে স্বর্গ। এমন লোভনীয় গিনিপিগ ছাড়া যায়? আমেরিকা থেকে বহু দেশের ল্যাবরেটরি আমদানি করলেন হেনরিয়েটা ল্যাক্স-এর কোষের নাতিপুতি। ওই মহিলার নাম থেকে গবেষকরা যাকে আখ্যা দিলেন ‘হিলা’ কোষ। প্রাণিদেহের একটা কোষের ওজন যদিও নগণ্য, তবু দেশ বিদেশের ল্যাবে আজ এত হিলা কোষ যে তার মোট পরিমাণ দাঁড়াবে পাঁচ কোটি টন। কোষ আকারে এত ছোট যে একটা পিনের মাথায় বসবে ৫,০০০। তাতে কী, দুনিয়াভর ল্যাবে ল্যাবে আজ এত হিলা কোষ যে তা পাশাপাশি দাঁড় করালে পৃথিবীকে তিন বার বেড়ি পরানো যাবে। এক হিসেব অনুযায়ী, হিলা কোষ নিয়ে গবেষণা করে লেখা পেপারের সংখ্যা ৭৪,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।
যাবেই। হিলা কোষ গবেষণায় সুফল মিলছে কি কম? এর সূত্রেই জোনাস সল্‌ক বানিয়েছিলেন পোলিয়ো ভ্যাকসিন। ক্যানসারের মূলে জিন-এর ভূমিকা জানতে, ভাইরাসের তাণ্ডব বুঝতে, মানবদেহের বার্ধক্যের কারণ খতিয়ে দেখতে গবেষণা এগোয় হিলা কোষ নিয়ে। পরমাণু বোমার বিষক্রিয়া বুঝতে বিস্ফোরণের জায়গায় রাখা হয়েছে ওই কোষ। প্রাণিদেহে মাধ্যাকর্ষণ-মুক্তির প্রভাব? উত্তর জানতে মহাশূন্যে পাঠানো হয়েছে ওই কোষ। এমনকী লিঙ্গবর্ধক রাসায়নিক আবিষ্কারের কাজে লেগেছে হিলা কোষ। আর, এত রকমের গবেষণা থেকে ব্যবসা? তা হবে বিলিয়ন ডলার।
হায়, ল্যাক্স পরিবারে কেউ, এমনকী হেনরিয়েটার স্বামী ডেভিড-ও, জানল না এ সবের কোনও খবর। কেউ না জানালে কী করে জানবে? অবশেষে ১৯৭৫ সালে, হেনরিয়েটার মৃত্যুর ২৪ বছর পরে, ওদের কাছে পৌঁছল খবর। হঠাত্‌, কাকতালীয় যোগাযোগে। হেনরিয়েটার বড় ছেলের নাম লরেন্স ল্যাক্স। তাঁর বউ বারবারা ল্যাক্স। তাঁর বান্ধবী জেসমিন। তাঁর বাড়িতে এক রাতে ডিনার। আমন্ত্রিত বারবারা, জেসমিনের বোন এবং তাঁর বোনের স্বামী জ্যাকসন। যে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিত্‌সাবিজ্ঞানের গবেষক। আলাপের সময় বারবারার উপাধি শুনে জ্যাকসন কৌতূহলী। তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনি কি হেনরিয়েটা ল্যাক্স নামে কোনও মহিলার নাম শুনেছেন?’ বারবারা বিস্মিত। ‘আরে, তিনি তো আমার শাশুড়ি! মারা গেছেন ২৪ বছর আগে। আপনি তাঁকে চিনতেন বুঝি?’ না, জবাব দিলেন জ্যাকসন, সাক্ষাত্‌ দেখেননি মহিলাকে কোনও দিন। এখন তাঁকে টেস্ট টিউবে রোজ দেখেন ল্যাবরেটরিতে। জ্যাকসন বারবারাকে শোনালেন হিলা কোষ বৃত্তান্ত। ডিনার কোনও মতে সেরে বারবারা একছুটে নিজের বাসায়। স্বামী লরেন্সকে বললেন, ‘তোমার মা এখনও বেঁচে আছেন। সারা পৃথিবীর ল্যাবে।’ উত্তেজিত লরেন্স ফোনে সব জানালেন বাবাকে। ডেভিড ল্যাক্স এ বার বিজ্ঞানীদের দরজায় দরজায়। সব কিছু জানতে। বুঝতে। তাঁর স্ত্রী এখনও বেঁচে টেস্ট টিউবে? কী ভাবে? কেন? তাঁকে নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে বিলিয়ন ডলারের? তা হলে তাঁর নিজের পরিবার কেন হতদরিদ্র? এতটা, যে হেল্থ ইনশিয়োরেন্স-এর প্রিমিয়ামটুকু দেওয়ারও সামর্থ্য নেই।
২০১০ সাল। হেনরিয়েটা-আখ্যানে নতুন মোড়। ছাপা হল একখানি বই। ‘দি ইম্‌মরটাল লাইফ অব হেনরিয়েটা ল্যাক্স’। লেখিকা রেবেকা স্‌ক্লুট। জীববিদ্যার ছাত্রী। পরে সাংবাদিক। জীববিদ্যা পড়তে গিয়ে হিলা কোষ নামটা প্রথম শুনেছিলেন। অধ্যাপকদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন হেনরিয়েটার জীবন। তাঁরা কেউ কিছু বলতে পারেননি। রেবেকা বিস্মিত। যাঁর দেহের টুকরো নিয়ে এগোচ্ছে সারা পৃথিবীর গবেষণা, তিনি অপরিচিতা! লিখতে হবে তাঁর কাহিনি। শুধু হেনরিয়েটার অমরত্ব নয়, ল্যাক্স পরিবারের দারিদ্র-পীড়িত দিনযাপনও। রেবেকা-রচিত গ্রন্থ বেস্টসেলার। প্রকাশের দিনে বিক্রি ৩৫,০০০ কপি। সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট অর্ডার আরও এক লাখ। টেস্ট টিউবের বাইরে এ বার হেনরিয়েটা। মানুষ জানল তাঁর কাহিনি।
প্রতিক্রিয়া নানা ভাবে। হেনরিয়েটার কবরে এত কাল ছিল না কোনও ফলক। চিকিত্‌সাবিজ্ঞানের এক নায়িকা শেষ শয্যায় আছেন কোথায়, তা জানত না তাঁর পরিবারের বাইরে আর কেউ। এ বার এগিয়ে এলেন চিকিত্‌সাবিজ্ঞানের অধ্যাপক রোনাল্ড প্যাটিলো। হেনরিয়েটার সম্মানে দান করলেন ফলক। তাতে লেখা: ‘ইন লাভিং মেমরি অব আ ফেনোমেনাল উওম্যান, ওয়াইফ অ্যান্ড মাদার হু টাচেস দি লাইভ্স অব মেনি/ হিয়ার লাইজ হেনরিয়েটা ল্যাক্স (হিলা)। হার ইম্‌মরটাল সেলস উইল কনটিনিউ টু হেল্প ম্যানকাইন্ড ফর এভার...’ কবরে ফলক বসানোর অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্যাটিলো বললেন, ‘হেলেন অব ট্রয়, জোন অব আর্ক-এর মতো সর্বকালের সেরা নায়িকারা হেনরিয়েটা ল্যাক্স-এর পাশে ম্লান।’ অনুষ্ঠানে হাজির আর এক জন। নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড ক্রল। ১৯৮৯ সালে যিনি থিসিস লিখেছিলেন হিলা কোষ বিষয়ে। তিনি বললেন, ‘মানুষ লিংকন, রুজভেল্ট-এর নাম করে। আমি মনে করি হেনরিয়েটা ল্যাক্স-এর আসন ওঁদেরই পাশে।’
ও রকম প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ‘দি ইম্‌মরটাল লাইফ অব হেনরিয়েটা ল্যাক্স’ উসকে দিল কিছু প্রশ্নও। তাঁর ত্বকের রং কালো বলেই কি হেনরিয়েটা ল্যাক্স’কে অবজ্ঞা করেছে বিজ্ঞান-দুনিয়া? ব্যক্তিস্বাধীনতা আর সমাজসেবার মধ্যে ভেদরেখা কোনখানে? কারও দেহাংশ নিয়ে গবেষণা করতে হলে তাঁর অনুমতি প্রয়োজন কি না? সেই গবেষণায় যদি কোটি কোটি ডলার মুনাফা আসে, তবে তার ভাগ সেই মানুষটির প্রাপ্য কি না? মোদ্দা কথা, আমার শরীরের মালিক কে আমি, না দশ জন?
বিতর্ক জারি এখনও। পরিণাম টের পাওয়া গেল এই ২০১৩ সালেও। মার্চ মাসে হাইডেলবার্গ শহরে ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা হিলা কোষের জিন-মানচিত্র তৈরি করে কাউকে কিছু না জানিয়ে পোস্ট করে দিলেন ইন্টারনেটে। তা দেখে প্রতিবাদের ঝড়। বাধ্য হয়ে ওঁরা ইন্টারনেট থেকে তুলে নিলেন সেই মানচিত্র। তা দেখে ঘাবড়ে গেলেন আমেরিকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট্স অব হেল্থ-এর বিজ্ঞানীরা। ওঁরাও তৈরি হচ্ছিলেন হিলা কোষের জিন-মানচিত্র প্রকাশের জন্য। ওঁদের প্রধান ফ্রান্সিস কলিন্স তিন বার দেখা করলেন ল্যাক্স পরিবারের সঙ্গে। শেষে অগস্ট মাসে চুক্তি। তৈরি হল কমিটি। তাতে সদস্য হিসেবে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ল্যাক্স পরিবারের দুজন। হিলা কোষের জিন-মানচিত্রের তথ্য নিয়ে গবেষণা করতে হলে এখন থেকে অনুমোদন লাগবে কমিটির। না, গবেষণা ব্যবসায়িক লাভ আনলে, তার ভাগ পাবেন না ল্যাক্স পরিবার। তবে, গবেষণার অভিপ্রায় পছন্দ না হলে, তাতে অনুমতি না দেওয়ার অধিকার তাঁদের থাকবে। এটা কি কম?
হেনরিয়েটা ল্যাক্স, আপনি, কিছুটা হলেও, বিজয়িনী। আপনাকে সেলাম।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.