ব্যাঙ্কের গাড়ি থামিয়ে ২০ লক্ষ টাকা লুঠের দায়ে ব্যাঙ্কের এক এজেন্ট সহ আট জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক। শনিবার জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সাজা ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ সাদেক রিটু বলেন, “২০০৯ সালের ২৭ অগষ্ট দুপুরে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে সাগরদিঘির মণিগ্রাম বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কে ফিরছিলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিক অচিন্ত্য সরকার। রঘুনাথগঞ্জ-সাগরদিঘি সড়কের ধলোর মোড় এলাকায় দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের গাড়িটি আটকায়। সেখানে দুটি মোটর বাইক নিয়ে ছুটে আসে অন্য দুষ্কৃতীরাও। গাড়ির চালক এবং ওই আধিকারিকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায় তারা। অচিন্ত্যবাবু তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে চপারের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা পালাতে গেলে তাদের গাড়ি উল্টে যায়। পাঁচজন পালিয়ে গেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকে ধরে ফেলে। পরে তদন্তে নেমে ব্যাঙ্কের এজেন্ট আনন্দ ধর সহ আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।” অন্য দিকে, শনিবার খুনের দায়ে সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের বৃন্দাবন সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের (দ্বিতীয়) বিচারক শৈলেন্দ্র কুমার সিংহ। সরকারি কৌঁসুলি অশোক সাহা বলেন, “২০১১ সালের ৫ নভেম্বর কালীপুজোর রাতে জাফরাবাদ গ্রামের অজিত দাস নামে এক ব্যক্তিকে ছুরি মারে বৃন্দাবন সরকার। গ্রামে কালীপুজো নিয়ে একটা রেষারেষি ছিল। পুজোর রাতে অজিতবাবু মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গেলে তাঁকে ছুরি মারা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।” |