“আমি টটেনহ্যামে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম।” রেকর্ড অঙ্কে রিয়াল মাদ্রিদে সই করার মাস চারেক পরে গ্যারেথ বেল ফাঁস করলেন পুরনো ক্লাব টটেনহ্যাম ছাড়ার আসল কারণ।
কিন্তু কেন হাঁফিয়ে উঠছিলেন বেল? ওয়েলশ উইজার্ডের ব্যাখ্যা, একক দক্ষতায় পুরনো ক্লাবকে আর টানতে পারছিলেন না তিনি। অগত্যা সই করেন রিয়ালে। এক ব্রিটিশ বেল বলেন, “টটেনহ্যামে আমাকেই সব সময় শট মারতে হত, ফ্রি কিক নিতে হত, গোল করতে হত। ম্যাচের পর ম্যাচ এই চাপ নেওয়া আমার পক্ষে খুব মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল।” যে চাপ থেকে এখন মুক্তি পেয়েছেন বেল। তারকা বোঝাই নতুন ক্লাবে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে না। বেল বলছেন, “রিয়ালে বিশ্বমানের প্রতিভা খেলে। এখানে সবাই জানে তাকে মাঠে কী করতে হবে। রিয়ালের মতো ক্লাবে খেলা মানে স্বাধীন ভাবে নিজের খেলাটার উপরে ফোকাস করা যায়।” |
রিয়ালে সই করার পরে বেলের ফ্রি কিক হয়ে উঠেছে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের গবেষণার অন্যতম বিষয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গালাতাসারের সঙ্গে অবিশ্বাস্য ফ্রি কিকে গোল করার পরে যে পদ্ধতির নাম দেওয়া হয় ‘ক্যানন-বল’। কী ভাবে বলটা নিয়ে গতি আর শক্তির মিশেল ঘটান, সেই রহস্য এ বার ফাঁস করলেন স্বয়ং বেল। “আমি ফুটবল থেকে চার-পাঁচ পা দূরে গিয়ে দাঁড়াই। লক্ষ্য করি কোথায় গোলকিপার দাঁড়িয়ে আছে। তার পর বুটের বাইরে দিয়ে যতটা সম্ভব জোরে শট মারি। যাতে হাওয়ায় বলটা বাঁক না খায়।”
জোড়া রহস্য ফাঁসের দিনে অবশ্য একটা রহস্য থেকেই গেল। রবিবার ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের আগেও বেলের চোট নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিলেন রিয়াল কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি। বলে দিলেন, “বেলের চোটটা জরুরি বিষয় না। যেটা জানা দরকার, সেটা হচ্ছে বেল ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে খেলতে পারবে না। কারণ চোট সারানোর জন্য বেশি সময় পায়নি ও।” গত শনিবার ওসাসুনার সঙ্গে ড্র করে এমনিতেই চাপে আন্সেলোত্তি। তার উপরে আবার চোটের সমস্যায় জর্জরিত রিয়াল। বেল ছাড়াও চোটের জন্য রবিবার খেলতে পারবেন না পেপে, কোয়েন্ত্রাও ও ভারানে। তবুও দলে প্রতিভার অভাব নেই বলে মনে করছেন আন্সেলোত্তি। |