ভারতে এখনই নতুন কারখানা চালু করার কথা ভাবছে না নিসান ও অশোক লেল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগ। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
চলতি বছরের প্রায় গোড়া থেকেই সঙ্কটে দেশের গাড়ি শিল্প। যাত্রী গাড়ির মতোই ধাক্কা খেয়েছে বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসাও। তার অভিঘাতই এ বার জাপানি গাড়ি সংস্থা নিসান ও ভারতের অশোক লেল্যান্ডের এই যৌথ উদ্যোগের সম্প্রসারণ প্রকল্পেও। হাওড়ায় প্রথম শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষে সম্প্রতি কলকাতায় এসে অশোক লেল্যান্ড সংস্থার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর নীতিন শেঠ সম্প্রতি জানান, কবে নতুন কারখানা চালু হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
নিসানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বছর দুয়েক আগেই দেশে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসায় নেমেছিল অশোক লেল্যান্ড। এখন অশোক লেল্যান্ড ও নিসানের কারখানা থেকে যথাক্রমে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ি ‘দোস্ত’ ও বিবিধ ব্যবহারের উপযোগী গাড়ি (মাল্টি-পারপাস ভেহিকল) ‘স্টাইল’ উৎপাদন করছে তারা। চেন্নাইয়ের অদূরে যৌথ উদ্যোগে নয়া কারখানাটি গড়তে ২৫০০ কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা ছিল তাদের।
শেঠ জানান, এর আগে কারখানা গড়ার জমি নিয়ে সমস্যা থাকলেও এখন তা মিটেছে। প্রশাসনিক ছাড়পত্রও মিলেছে। ইতিমধ্যেই লগ্নি হয়েছে প্রায় ১২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পুরো কারখানা চালুর বিষয়টি নির্ভর করছে দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতির উপর। কারণ চড়া সুদের মতো বিভিন্ন সমস্যা প্রভাব ফেলেছে গাড়ি ব্যবসায়। তবে আপাতত তাঁদের নিজস্ব কারখানা থেকে বাজারের চাহিদা মতো উৎপাদন হচ্ছে বলে দাবি করেন শেঠ। নতুন কারখানা চালু হলে গোটা উৎপাদন ব্যবস্থাটাই ভবিষ্যতে চলে যাবে সেখানে। মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে বার্ষিক ১.৫০ লক্ষ গাড়ি তৈরি।
তবে আগামী দিনে এ দেশে হাল্কা বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি আশাবাদী। তাঁর দাবি, মন্দার প্রভাব সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে তা কেটে যাবে। দিল্লিতে ফেব্রুয়ারির অটো-এক্লপো-য় বাস ও ট্রাকও বাজারে ছাড়বে যৌথ উদ্যোগ সংস্থাটি। তবে শুধু দেশের বাজার নয়, রফতানি বাজারও তাঁদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে গাড়ি রফতানি করছে সংস্থা। ভবিষ্যতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারও ধরতে চায় তারা। |