সম্প্রতি মহাজাতি সদনে তানচক্র মিউজিক সোসাইটি পণ্ডিত দীননাথ মিশ্রের ৭০ তম জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজন করেছিল সঙ্গীত সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বলিত করেন ব্রাত্য বসু, স্বামী দেবানন্দ। সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশন করলেন গুরুবন্দনা ও ভজন। পরে মঞ্চে এলেন গিরিজা দেবী। প্রথমে শিল্পী পুরিয়া কল্যাণ পরিবেশন করেন। পরে খাম্বাজে ঠুংরি ও শেষে মিশ্র কিরবাণীতে দাদরা। ওঁর সঙ্গে কণ্ঠ সহযোগিতায় ছিলেন স্নেহলতা মিশ্র এবং অপরাজিতা ব্রহ্মচারী। তবলায় সুসঙ্গত করেন জয়শঙ্কর মিশ্র এবং হারমোনিয়ামে হিরণ্ময় মিত্র। |
দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চে এলেন তবলাবাদক পণ্ডিত কুমার বোস। বেনারস ঘরানার বোলবাট, রেলা, চক্রদার, তেহাই বাজিয়ে শ্রোতাদের মন আকৃষ্ট করেন। হারমোনিয়ামে যোগ্য সঙ্গত করেন সনাতন গোস্বামী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। প্রথমে উনি রাগ জয়জয়ন্তীতে খেয়াল পরিবেশন করেন। পাতিয়ালা ঘরানার খোলা গায়কী এবং বিভিন্ন কঠিন সরগমের প্রস্তুতি এবং অলংকার যুক্ত তানে সব শ্রোতাকেই মুগ্ধ করেন। শেষে পরিবেশন করলেন খাম্বাজ ঠুংরি। তবলায় সঙ্গত করেন সমর সাহা। বেহালায় সাকেত সাহু, হারমোনিয়ামে ব্রজেশ্বর মুখোপাধ্যায়। |
আইসিসিআর-এ রাগরঙ অনুষ্ঠানে। লিখছেন বারীন মজুমদার। |
সাধারণত যে ভাবে আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দেখে অভ্যস্ত তারই এক বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে ভট্টাচার্য স্কুল অব ইউনিভার্সাল মিউজিক আয়োজিত ‘রাগরঙ’ অনুষ্ঠানে। সংবর্ধিত শিল্পী ও সম্মাননা জ্ঞাপকরা সকলেই প্রায় সমসাময়িক। সেই কারণে অনুষ্ঠানটি অভিনব। সমর সাহা, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, জ্যোতি গোহ, দেবাশিস ভট্টাচার্য, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্যরা প্রত্যেকেই সঙ্গীতের ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবদানের জন্য সুখ্যাত। আর তাঁরাই যখন ঘরোয়া আড্ডার মাধ্যমে সমর সাহাকে পুষ্পস্তবক তুলে দিলেন সেই মুহূর্তটি বড়ই সুন্দর। অনুষ্ঠান শুরু হয় সুতপা ভট্টাচার্যের কণ্ঠসঙ্গীত দিয়ে। এদিন তিনি শুরুতে গাইলেন খাম্বাজ রাগাশ্রিত ঠুংরি ‘যাও তাদারা নাহি বোল’। তার পরেই গাইলেন নজরুলগীতি ‘সখি বোল বঁধুয়া’। চন্দ্রনন্দন রাগে ‘স্মৃতিই শুধু থাকে’ গানটি দিয়ে পরিসমাপ্তি। শুভাশিস ভট্টাচার্য (তবলা), আল্লারাখা কলাবন্ত (সারেঙ্গী) ও গৌরব চট্টোপাধ্যায় (হারমোনিয়ম) তাঁকে সহযোগিতা করেন। মঞ্জুনন্দন মেহেরা ছিলেন শেষ শিল্পী। অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনায় ছিলেন দেবাশিস ভট্টাচার্য। |