সেন্ট্রাল জু অথিরিটির সুপারিশ মেনে মালদহের আদিনা ডিয়ার পার্ক থেকে ৫৫টি হরিণকে দার্জিলিংয়ের মহানন্দা অভয়ারণ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের বন দফতর। জানুয়ারি মাসে হরিণগুলিকে মালদহ থেকে শিলিগুড়ি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের ডিএফও অজয় দুবে।
আশির দশকে নদীয়ার বেথুয়াডহরি থেকে ৫ টি হরিণ নিয়ে এসে আদিনায় পাকজ্ঞ তৈরি হয়। তার পর থেকে আদিনায় হরিণের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই গিয়েছে। এর আগে শিলিগুড়ির সুকনায় ১৫টির বেশি হরিণকে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে আদিনায় হরিণের সংখ্যা ৮৯। সম্প্রতি সেন্ট্রাল জু অথারিটির একটি বিশেষজ্ঞ দল আদিনা পরিদর্শন করে জানায় আদিনার পরিকাঠামো অনুযায়ী সেখানে ৪০টির বেশি হরিণ রাখা সম্ভব নয়। সে কারণেই অতিরিক্ত হরিণ দ্রুত অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় সেন্ট্রাল জু অথরিটি। এরপরই রাজ্যের বন দফতর তড়িঘড়ি আদিনা থেকে হরিণ স্থানান্তরের সিদ্দান্ত নিয়েছে বন দফতর। ডিএফও অজয় দুবে বলেন, “সেন্ট্রাল জু অথারিটির সুপারিশ মেনে ৫৫ হরিণ আদিনা থেকে মহানন্দার জঙ্গলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রের খবর, হরিণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় খাবারের সংকটও দেখা দিয়েছে আদিনায়। ৮৯ টি হরিণকে প্রতিদিন চারবেলা খাবার দিতে বন দফতরেরে কর্মীরা রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বন দফতরের কর্তারা অবশ্য খাদ্য সংকটের কথা মানতে চাইছেন না। ইতিমধ্যে আদিনা পার্ক মিনি জু হিসাবে মান্যতা পেয়েছে। হরিণ দেখার জন্যই পর্যটকদের ভিড়ও বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আদিনার জঙ্গলে প্রচুর জমি পতিত পড়ে রয়েছে, সেই জমি অধিগ্রহন করে ডিয়ার পার্কের পরিধি বাড়ানোর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হরিণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও। এলাকার কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর অভিযোগ করেন, “এত দিন পরেও রাজ্য মালদহের আদিনা মৃগদাবের পরিধি বাড়ানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। যদি পরিধি বাড়ত তবে মালদহের হরিণ মালদহেই রাখা যেত। পর্যটকরাও খুশি হত।” তবে রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আদিনা মৃগদাবে এত হরিণ রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। এত হরিণের খাবার কোথায় পাওয়া যাবে! সে কারণেই ওই সিদ্ধান্ত।” |