স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন হল স্বামীর। পুলিশ জানায়, গত ১০ মার্চ খানাকুলের শাবলসিংহপুর গ্রামের বধূ রুবিনা বেগমের (১৯) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁর দাদা মির্জা মহম্মদ এনায়েত থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই রুবিনাকে খুন করেছে তার স্বামী শেখ কামরুদ্দিন। তদন্তে জানা যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় কামরুদ্দিন তার স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী মোহন হালদার জানান, গত ৯ মাসে মোট ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পরে গত বুধবার কামরুদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এ দিন আরামবাগ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমরেন্দ্রনাথ রায় যাবজ্জীবনের রায় শোনান। মাত্র ৯ মাসে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় সন্তুষ্ট বধূর পরিবার।
অন্য দিকে, গলার নলি কেটে এক গৃহবধূকে খুনের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে শ্রীরামপুর আদালত। আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয় কোর্ট) আশিসকুমার হাজরা ডানকুনির বাসিন্দা গোকুল দাস ওরফে উত্তমকে ওই সাজা শোনান। সরকার পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ মুশা মল্লিক জানান, আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২০১০ সালের ১৪ জুন ভোরে শিখা মেটে নামে পার ডানকুনির বাসিন্দা এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয় কোন্নগর বারোমন্দির-লাগোয়া ঝোপে। পুলিশের দাবি, নিহত মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গোকুলের যুবকের। তার জেরেই খুন। |