|
|
|
|
এ বার থিয়েটারে ঋত্বিকের ‘শব্দ’ |
আর তাই তো ব্রাত্য বসুর লেখা এবং নির্দেশনায় নতুন নাটকে অভিনয়ের সুযোগ
পেয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।
খোঁজ নিলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত। |
বড় পর্দা থেকে সরে এসে এখন নাট্যমঞ্চতে শব্দ করবেন বলে প্রস্তুত হচ্ছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। লাইটস, কাট, অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে একটু সরে এসে তিনি এখন উইংসের আড়ালে দাঁড়িয়ে। শুরু করে দিয়েছেন নাটকের মহড়া। অভিনয় করবেন ব্রাত্য বসুর লেখা ‘কে’ নাটকে, যার নির্দেশনায় থাকছেন ব্রাত্য নিজেই।
কেন হঠাৎ সিনেমা/সিরিয়াল ছেড়ে নাটকে এলেন ঋত্বিক?
প্রায় এক দশক আগে তিনি থিয়েটার করতেন। “তখন ওটা ছিল শুধু প্যাশন। শেখর সমাদ্দারের ‘আবাস’ বলে একটা দলে আমি নাটক করতাম। সিরিয়াল শুরু করার পর থেকেই আমি নাটক আর সিরিয়াসলি করতে পারিনি। তবে মঞ্চে অভিনয় করার খিদেটা ছিল,” বলছেন ঋত্বিক।
|
|
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল। |
সিরিয়াল করার ব্যস্ততার মধ্যে নাটকের দিকে মন দেওয়ার অবকাশ ছিল না ঋত্বিকের। তার মধ্যেও দু’একটা ভাল প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু কাজের চাপের জন্য সময় করে উঠতে পারেননি। কিছু বছর আগে প্রস্তাব এসেছিল সুমন মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও। ‘ঘরে বাইরে’ অবলম্বনে একটা প্রোডাকশন নামাবেন বলে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। “লালদা (সুমন) চেয়েছিলেন আমি নিখিলেশের চরিত্রটা করি। তবে যে কোনও কারণেই হোক, নাটকটা হয়নি। আমি তক্কে তক্কে ছিলাম কবে একটা ভাল সুযোগ আসে। ব্রাত্যদা যখন আমাকে এই রোলটা দিলেন, তখন আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম,” বলেন অভিনেতা।
মেগাসিরিয়াল করা ছেড়ে দিয়েছেন বলে নাটকের জন্য রিহার্সাল করার সময় বের করতে অসুবিধে হচ্ছে না। এখন হাতে খানিকটা সময় রয়েছে। সামনে সুদেষ্ণা রায় আর অভিজিৎ গুহর ‘ক্রস কানেকশন ২’ করছেন। আর মৈনাক ভৌমিকের ‘কলকাতা কলিং’, যেখানে তিনটে গল্পকে বেঁধে একটা চিত্রনাট্যও লিখেছেন মৈনাক।
“আমার গল্পটা হল সাঁতরাগাছির এক ছেলেকে নিয়ে, যে টলিউডে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু কেউ তাকে নেয় না। সত্যি বলতে কী, তাকে নেওয়ারও তেমন কোনও কারণ নেই। তবে এই সব সিনেমার শ্যুটিং করার আগে আমার ফোকাস হল এই নাটকটা,” ঋত্বিক জানান।
যে নাটকটাকে ঘিরে তাঁর এত উত্তেজনা, সেখানে তিনি এক ডাক্তারের চরিত্রে। “সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ফরম্যাটে লেখা এই নাটকটা লিখেছিলাম গত মাসে। নাটকে এক ভদ্রমহিলা মারা যান। তাঁর স্বামী এসে এই ডাক্তারকে বলেন যে তাঁর ওঁর স্ত্রী-র সঙ্গে একটা সম্পর্ক ছিল এবং তিনি এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি ঋত্বিকের অভিনয় বহু দিন ধরেই পছন্দ করি। তাই ওকে এই চরিত্রটি করতে অনুরোধ করেছিলাম,” বলছেন ব্রাত্য। ঋত্বিক ও ব্রাত্যর শিডিউল দেখে মনে হচ্ছে সামনের বছরের গোড়ার দিকেই মঞ্চস্থ হবে এই নাটক।
|
গত মাসে একটা
থ্রিলার লিখেছি। সেই নাটকে এক
ডাক্তারের
চরিত্রে ঋত্বিককে অভিনয় করতে অনুরোধ করি।
ব্রাত্য বসু |
|
গত দু-এক বছরে নাটকে টলিউড থেকে অনেকেই অভিনয় করতেআগ্রহ দেখিয়েছেন। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে স্বপ্নসন্ধানীর ‘নটীর পূজা’ নাটকে। সুদীপ্তা চক্রবর্তীকেও দেখা গিয়েছে ‘বিকেলে ভোরের সর্ষে ফুল’ নাটকে। গার্গী রায়চৌধুরীও অভিনয় করেছেন ‘অ্যান্টনি সৌদামিনী’ নাটকে। চৈতি ঘোষালকেও দেখা গিয়েছিল ‘রক্তকরবী’ নাটকে অভিনয় করতে। রজতাভ দত্তও করেছিলেন ‘সেই সুমৌলি’। ঋত্বিকের মঞ্চে ফেরার সিদ্ধান্তটা কি খানিকটা এই ট্রেন্ডটাকে মাথায় রেখেই নেওয়া? “আমার মধ্যে তো থিয়েটার করার একটা প্যাশন বরাবরই ছিল। সেটাই এখন কাজে লাগাচ্ছি। অনেকেই আছেন, যাঁরা অভিনয় করেন। কিন্তু সিরিয়াসলি থিয়েটারটা কোনও দিন করেননি। মঞ্চে অভিনয় করার মনোবাঞ্ছা তাঁদের থাকতেই পারে। বাংলা থিয়েটারের ধরনটা বদলে গিয়েছে। সেখানে এই সব অভিনেতা এলে তো ভালই হবে,” বলছেন ঋত্বিক।
এ দিকে ঋত্বিকপুত্র উপমন্যুর বয়স এখন চার মাস। ঋত্বিক যখন স্টেজে ফেরার তোড়জোড় করছেন, স্ত্রী অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাস কবে ফিরছেন ক্যামেরার সামনে? অভিনেতা জানাচ্ছেন, পর্দায় ফেরার জন্য নাকি অপরাজিতা রেডি হচ্ছেন। আর তিন-চার মাসের মধ্যে তাঁকে ফের দেখা যাবে স্টুডিয়ো ফ্লোরে।
|
|
|
|
|
|