আলো-আঁধারিতে রেলওয়ে প্লাটফর্মের বাইরে হলুদ-কালো ছোপ ছোপ জন্তুটা কী? চিতাবাঘ কি? এমনই আতঙ্কে রেললাইন পরীক্ষায় কাজে যাওয়া কর্মীরা ছুটে স্টেশন ম্যানেজারের অফিসে ঢুকে দরজা এঁটে দেন। শনিবার গভীর রাতে আদ্রা-চান্ডিল শাখার বিরামডি স্টেশনের ওই ঘটনার পরে এলাকা পরিদর্শন করেও ওই প্রাণীটির হদিস পায়নি বন দফতর। প্রাণীটির পরিচয়ও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি তারা। পুরুলিয়ার ডিএফও ওমপ্রকাশ বলেন, “ওই এলাকা চিতাবাঘের বিচরণ ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে না। তবে দলমা থেকে যদি চিতাবাঘ এসে থাকে, তা এখানে বেশি দিন থাকার কথা নয়।”
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত মাওবাদী নাশকতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে এই বিরামডি স্টেশনে। তা নিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছিল। এ বার হলুদ-কালো ছোপের জন্তুকে ঘিরে সেই ছবি উঠে এসেছে। এই ঘটনার পরে রাতে ওই এলাকায় কাজ করতে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন রেলকর্মীরা। সে দিন রাতে স্টেশনে ছিলেন সহকারি স্টেশন ম্যানেজার অঞ্জনি কুমার। তাঁর কথায়, “একজন রেলকর্মী ছুটে এসে অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জানান, স্টেশনে বাঘ ঢুকেছে। তখন বরাভূমের (বলরামপুর) দিক থেকে একটি রেল ইঞ্জিন আসছিল। ওয়াকিটকিতে ওই ইঞ্জিনের চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও জানান, প্ল্যাটফর্ম ঢোকার আগে হেডলাইটের আলোয় বাঘের মতো কোনও একটি প্রাণীকে দেখা গিয়েছে।”
ওই স্টেশনের এক দিকে অযোধ্যাপাহাড়, অন্য দিকে কিছুটা দূরে দলমা রেঞ্জ। এলাকা ঘুরে এসে বলরামপুরের রেঞ্জ অফিসার মাণিক রায় বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী কোনও প্রাণী আমাদের নজরে আসেনিয় তবে বমকর্মী ও বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের নজরে রাখতে বলেছি।” বিরামডির স্টেশন ম্যানেজার তুষিত মুখোপাধ্যায় জানান, “স্টেশনে পর্যাপ্ত আলো নেই। রাতে কর্মীরা তাই কিছুটা ভয়ে রয়েছেন।” |