টুকরো খবর |
মশার উপদ্রব রোধে পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া ঠেকাতে কলকাতা শহরে সব পুকুর নতুন করে খনন করে সংস্কার করবে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া, ওই কাজের পরে মশার উপদ্রব কমাতে পুকুরে ছাড়া হবে গাপ্পি মাছও। উদ্দেশ্য শুধু মশা কমানোই নয়, প্রোমোটারদের থাবা থেকে শহরের পুকুরগুলিকে রক্ষা করতে এই নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতর। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার কোন ওয়ার্ডে কত পুকুর রয়েছে তার সমীক্ষা শুরু করেছে জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতর। সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত পুকুরের সমীক্ষা করার জন্য ওই দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন বলে জানান দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সোমবার মহাকরণে সৌমেনবাবু বলেন, জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সে কথা সব সময় বলছেন। সে দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের সব জায়গায় পুকুর খনন শুরু হয়েছে। একশো দিনের কাজের মধ্যে এই কাজ করানো হচ্ছে। কলকাতা পুর-এলাকায় পুকুর খননের জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে। জলসম্পদ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে (ওয়ান) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী ইঞ্জিনিয়ারেরা সমীক্ষা করছেন। মন্ত্রী বলেন, মশার উপদ্রব রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও নোংরা জলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ সবের সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির প্রোমোটার পুকুর ভরাট করছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পুকুর খনন হলে পরিবেশ ভাল হবে। সৌমেনবাবু জানান, এই সংস্কারের জন্য পাঁচ কোটি টাকার প্রয়োজন। তার অভাব হবে না। সমীক্ষার পর পুরসভা এবং বেসরকারি পুকুর মালিকদের অনুমতি নিয়েই কাজ করা হবে।
|
শিশু চিকিৎসকদের নয়া সংগঠন রাজ্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিশুদের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকদের রাজ্য শাখার সূচনা হল। সোমবার, বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে। অন্য একাধিক রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এত দিন পৃথক কোনও শাখা ছিল না। শিশু চিকিৎসক তথা মা ও শিশুর মৃত্যু হার কমাতে গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “সমস্ত দেশ জুড়েই শিশু চিকিৎসার নানা অগ্রগতি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় খুবই জরুরি। এই সংগঠন গড়ে ওঠার ফলে সেটা সম্ভব হবে।” পাশাপাশি এ রাজ্যে শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা সরকারি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আরও সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ), ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হাব’ তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার-এর প্রধান চিকিৎসক সুনীত সিংহি প্রমুখ।
|
রোগী মৃত্যুতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
রোগিণীর মৃত্যুতে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আনলেন তার বাড়ির লোকজন। সোমবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘিরে অশান্তি বাধে। পরে কাটোয়ার ওসি পীযুষকান্তি লায়েক বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে হাসপাতালে গেলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় রাজমহিষী হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মঞ্জুরী দেবনাথকে এ দিন দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই মারা যান তিনি। মঞ্জুরীর মা সুচিরা দেবনাথের অভিযোগ, “স্কুল থেকে আসার পর মেয়ের শরীরের একাংশ অবশ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরে পরপর চারটি ইঞ্জেকশন দিলে মেয়ে নেতিয়ে পড়ে। তার পর আর কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি।” এরপরেই মঞ্জুরীর বাড়ির লোকজন চিকিৎসক এবং নার্সদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন। মঞ্জুরীর বাড়ি, পানুহাটের বসন্তপল্লি এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ হাসপাতালে জড়ো হন। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটির ময়নাতদন্ত করা হবে।
|
কুষ্ঠ রোগীদের মূলস্রোতে ফেরাতে অস্ত্রোপচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
চিকিৎসায় কুষ্ঠরোগ সারলেও অনেক ক্ষেত্রেই অঙ্গ বিকৃতি ঘটে। এরফলে সুস্থ হওয়ার পরেও সেরে ওঠা ব্যক্তিটি অনেক সময় সমাজের মূলস্রোতের বাইরেই থেকে যান। জাতীয় কুষ্ঠ নির্মূলকরণ অভিযানের আওতায় এমন ব্যক্তিদের ‘রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি’র মাধ্যমে অঙ্গ বিকৃতি সারিয়ে দিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে এক মহিলা-সহ এমনই ৮ জনের ‘রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি’ করা হল। এ দিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রূপনারায়ণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ৯ জনের চিকিৎসক দল ওই ৮ জনের হাত ও পায়ের অপারেশন করেন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অপারেশনগুলি চলে। প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী অপারেশনের পর সুস্থ হলে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ৭৭ জনের এই ধরনের সার্জারি করা হয়েছে।”
|
হাসপাতাল পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য সোমবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক করা আগে ওই প্রতিনিধি দল গোটা হাসপাতাল ঘুরে দেখে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ জানান, রোগীরা যাতে যথার্থ পরিষেবা পান, তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে এসেছিলেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা টেকনিক্যাল অফিসার কল্যাণরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতালে পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য এ রাজ্যের ৬টি হাসপাতালকে বাছা হয়েছে। সেগুলি হল কোচবিহার, শিলিগুড়ি, বালুরঘাট, তমলুক, নদিয়া ও পুরুলিয়া জেলা হাসপাতাল। সে জন্য আমরা পরিদর্শনে এসেছিলাম।”
|
এডস সচেতনতায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের উদ্যোগে ‘এড্স সচেতনতা শিবির’ হয়ে গেল উলুবেড়িয়ায়। শনিবার উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনএসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুখেন্দু হীরা-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। যোগ দেন ৫০০ পুলিশ কর্মীও। ছিল এড্স নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ম্যাজিকের আসর।
|
চক্ষু পরীক্ষা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরের আয়োজনে ও চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের পরিচালনায় বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির হল রবিবার।
|
পঞ্চাশের পরেও সন্তানের পিতা-মাতা |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
মায়ের বয়স ৫২। বাবার ৫৪। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে পঞ্চাশের পরেও সন্তানের পিতা-মাতা হওয়া আর অসম্ভব নয়। সোমবার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের সাংবাদিক সম্মেলনে সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে এই বার্তা দিলেন ধলভূমগড়বাসী দম্পতি তপনকুমার মণ্ডল এবং রিনা মণ্ডল। দু’বছর আগে ডিসেম্বরে এক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান ১৪ বছরের তন্ময়কে। দু’বছর পর সেই ডিসেম্বর মাসেই তাঁরা পেলেন সুস্থ-সবল সন্তান। ওই হাসপাতালেই ১১ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছে শিশুটির। যাঁর তত্ত্বাবধানে পুরো বিষয়টি হয়েছে সেই চিকিৎসক রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, ‘ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ (আইভিএফ) পদ্ধতিতে গর্ভবতী হন রিনাদেবী। অবশ্য পঞ্চাশের পরে মা হওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন তিনি। জানান, অনেকসময় মায়ের সন্তানধারণ ক্ষমতা চলে যেতে পারে, সন্তানের জিনগত রোগ হতে পারে, মায়ের গর্ভপাত হতে পারে বা শিশুর বৃদ্ধির সমস্যা দেখা যেতে পারে। |
|