গ্রাম-শহরের মানুষ কী পরিষেবা পাচ্ছেন, কী ধরনের পরিষেবা নিচ্ছেন তার বিশদ তথ্য জানতে শুরু হচ্ছে সমীক্ষা। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় নমুনা সংগ্রহ দফতর এই কাজ শুরু করছে। জাতীয় নমুনা সংগ্রহ দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা ওঙ্কারপ্রসাদ ঘোষ বলেন, “এগারো বছর পর এই ধরনের সমীক্ষা গোটা দেশ জুড়ে হচ্ছে। সারা দেশের ১ লক্ষ ২০ হাজার বাসিন্দার কাছে গিয়ে এই সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ছ’মাস সমীক্ষা চলবে।”
শহর ও গ্রামে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে নাগরিকরা কতটা ওয়াকিবহাল, তা বুঝতে সমীক্ষা শুরু হচ্ছে ২০১৪-র ১ জানুয়ারি থেকে। তা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। সমীক্ষা করার আগে সোমবার থেকে মালদহের জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন ট্রেনিং সেন্টারে আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। এই শিবিরে উত্তরবঙ্গের ছয় জেলা এবং মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াএই আটটি জেলার ৫৪ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনদিনের এই শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ১ জানুয়ারি থেকে ওই কর্মীরা গ্রাম ও শহরের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করবেন। এ দিন এই আঞ্চলিক শিবিরের উদ্বোধন করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, “দেশের উন্নয়নের জন্য এই ধরনের সমীক্ষা হওয়া উচিত। এ ধরনের সমীক্ষায় সরকার ও সাধারণ মানুষ উভয়েই উপকৃত হবেন।”
ওঙ্কারপ্রসাদবাবু জানান, গ্রাম-শহরের কতজন মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন ও কতজন মানুষ বেসরকারি পরিষেবা নিচ্ছেন, তাঁদের কত খরচ হচ্ছে, গর্ভবতী মায়েরা প্রসবের আগে-পরে কী কী সুবিধা পাচ্ছেন সবকিছুরই তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া, কতজন ছাত্র সরকারি স্কুলে পড়ছে, কতজন বেসরকারি স্কুলে পড়ছে, কতজন ছাত্র পড়তে পড়তে মাঝ পথে পড়াশুনা ছেড়ে দিচ্ছে তার তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এমনকী কতজন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে সেই রিপোর্টও তৈরি করা হবে। |