সিঁড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ায় ঘর থেকে বেরোতে না পেরে দোতলার ঘরে আটকে রইলেন তিরাশি বছরের এক বৃদ্ধা। দমকল কর্মীরা এসে তাঁকে ল্যাডার দিয়ে নামিয়ে আনেন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বালির সরখেল পাড়ায়। লক্ষ্মীরানী চট্টোপাধ্যায় নামে নিঃসন্তান বৃদ্ধার সেখানে পুরনো দোতলা বাড়ি রয়েছে। বছর দশেক আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। অথর্ব হয়ে পড়ায় তিনি সাধারণত বাড়ি লাগোয়া এক প্রতিবেশীর কাছেই থাকেন। তবে রোজ সকালে নিজের বাড়িতে গিয়ে শোওয়ার ঘর কাজের মহিলাকে দিয়ে ঝাড়পোঁছ করাতেন তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিনও সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ প্রতিবেশী দেবাশিস পাত্রের সঙ্গে নিজের বাড়িতে যান লক্ষ্মীদেবী। দোতলার ঘরে গিয়ে শুয়েও পড়েন। দেবাশিসবাবু বলেন, “ওঁকে দিয়ে বাড়িতে ফিরে চা খাচ্ছিলাম। আচমকা বিকট আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে দেখি, সিঁড়িটা ভেঙে পড়েছে।” খবর পেয়ে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ও বালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দমকল কর্মীরা ল্যাডার লাগিয়ে উপরে ওঠেন। তখনও অবশ্য নিজের শোওয়ার ঘরেই শুয়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। তাঁকে পাঁজাকোলা করে নামিয়ে দেবাশিসবাবুর বাড়িতে পৌঁছে দেন দমকল কর্মীরা। সেখানে শুয়েই তিনি বলেন, “ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু কাল ও বাড়িতে যাব কী করে?”
|
ভাইকে গুলি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন দাদা। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরাদিত্য গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অশোক দে ও তাঁর ভাই শ্যামল দে-র মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। শ্যামলের স্ত্রী মিঠুদেবীর অভিযোগ, এ দিন সন্ধ্যায় অশোকবাবু ছোট ভাইকে গুলি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষ তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ আসে। অশোকবাবুর কাছ থেকে একটি পাইপগান ও ৩টি গুলি উদ্ধার করেছে তারা।
|
ঘরের দরজা ভেঙে সোমবার সকালে তারকেশ্বরের একটি লজ থেকে এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম মানব মজুমদার (৫৪)। পুলিশের অনুমান, হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তারকেশ্বরে পারিবারিক সম্পত্তি রয়েছে মানববাবুর। তিনি অবশ্য মুম্বইতে থাকতেন। রবিবার তিনি এবং অন্য আত্মীয়েরা তারকেশ্বরে এসেছিলেন। বিকেলে মানববাবু তারকেশ্বর স্টেশনের কাছেই ওই লজে একটি ঘরভাড়া নেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
উলুবেড়িয়া মদাই গ্রামে বেআইনি চোলাই মদের ভাটি ভাঙল পুলিশ। প্রায় কয়েক হাজার লিটার মদ তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বেআইনি মদের কারবারিদের দাপটে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। বাড়ির মহিলারা দীর্ঘ দিন ধরে তিতিবিরক্ত। অভিযান মাঝে মধ্যে চলবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। |