মুদিখানার দোকানে জিনিয় কিনতে এসেছিল বছর বারোর এক কিশোরী। অভিযোগ, দোকানের শাটার নামিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মুদিখানার প্রৌঢ় মালিক। শনিবার সন্ধ্যায় লাভপুরের ওই ঘটনায় পুলিশ সোমনাথ দে (দিপু) নামে ওই দোকানিকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার বোলপুর এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতকে এক দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, বোলপুর মহকুমা হাসাপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি লাভপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। তার পরিবারের লোক জন কাজের সূত্রে গত কয়েক দিন ধরে লাভপুরে আছেন। তাদের সঙ্গেই ছিল ওই নাবালিকা। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ লাভপুর হাটতলা সংলগ্ন এলাকার ওই মুদির দোকানে মেয়েটি বাড়ির জন্য কয়েকটি জিনিস কিনতে এসেছিল। তার পরিবারের অভিযোগ, তখনই তাকে একা মেয়ে ওই প্রৌঢ় মেয়েটিকে দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। মেয়েটি কোনও রকমে পরিবারের লোকেদের কাছে ফিরে ঘটনার কথা জানায়। তার পরেই নাবালিকার পরিবার লাভপুর থানার দ্বারস্থ হয়।
শনিবার রাতেই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গর্জে ওঠেন। তাঁরা লাভপুর-কীর্ণাহার রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়। সন্ধ্যায় অবশ্য বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ একটি ধিক্কার মিছিল বের করেন। সেখানে দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে। মেয়েটির এক কাকা বলেন, “বাবার বয়সী কেউ ওই ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে এমন করবে, কোনও দিন ভাবিনি। আমরা ওই ব্যক্তির কড়া শাস্তি চাই।” ধৃত মুদিখানা দোকানি অবশ্য তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সোমবার ধৃতকে ফের আদালতে তোলা হবে। |