|
|
|
|
একলা চলার ডাক প্রদেশ কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রায় প্রতিদিন কংগ্রেসের নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে যে দল আদৌ বিচলিত নয়, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল না হারিয়ে লোকসভা ভোটে একলা লড়ার জন্য তৈরি থাকতে শুক্রবার শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে ফের আহ্বান জানালেন তাঁরা।
ভাঙন-ধ্বস্ত দলের সমাবেশে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল দলছুটদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সমালোচনা। প্রদীপবাবু ছাড়াও মানস ভুঁইয়া বা মইনুল হকের মতো বিধায়কদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য কংগ্রেসের গুটিকয়েক নেতা তৃণমূলে গিয়েছেন। তাতে দলের ক্ষতি হবে না। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সম্পাদক শাকিল আহমেদ খানের উপস্থিতিতে মানসবাবু কর্মীদের বলেন, “কয়েক জন বিধায়ক, কাউন্সিলর কংগ্রেস ছেড়ে পালাচ্ছে! কিন্তু কংগ্রেস বিধায়ক, সাংসদদের দল নয়। কংগ্রেস মানুষকে নিয়ে চলে।”
অবশ্য তাঁদের নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সদ্য দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে অস্তিত্বহীন ব্যক্তিদের কথায় আমল না দেওয়াই ভাল। মঞ্চ বেঁধে কিছু স্তাবক জোগাড় করে বড় বড় ভাষণ দেওয়া যায়। কিন্তু মানুষের উন্নয়নে রাজ্যের সামগ্রিক স্বার্থে তা কোনও কাজে আসে না।” তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়েরও মন্তব্য, “যাঁরা দলত্যাগীদের কটাক্ষ করছেন, তাঁদের বলব জনাদেশের আয়নায় নিজেদের দেখে নিন!”
বস্তুত, পঞ্চায়েত বা সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে জনসংযোগকেই গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। এ দিনের সমাবেশেও রাজ্যে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন শাকিল। ‘মুক্তির পদযাত্রা’য় যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, এ দিন তাঁদের সংবর্ধিত করেন প্রদীপবাবু। ঘোষণা করেন, ১৫ জানুয়ারির পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে পদযাত্রা হবে। |
|
|
|
|
|