কারখানায় শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতাকে আটক করায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকরাই। শুক্রবার সকালে বড়জোড়া থানার ঘটনা। পরে ওই শ্রমিক নেতাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বড়জোড়ার ঘুটগোড়িয়া শিল্পাঞ্চলের একটি ফেরোঅ্যালয় কারখানায় বেশ কিছু মহিলা শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। কারখানা সূত্রে খবর, সেখানে পাঁচটি ইউনিটে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বেশ কিছু মহিলা শ্রমিকও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২২ জন মহিলা শ্রমিককে কাজ থেকে ছাঁটাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে তাঁদের কয়েকজনকে ধাপেধাপে বসিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় ওই কারখানার প্রাক্তন আইএনটিটিইউসি সম্পাদক ভোলানাথ পাল আন্দোলনে নামেন। কারখানার দেওয়ালে পোস্টার সেঁটে, প্রশাসনের কাছে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোলানাথবাবু-সহ আরও দু’জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেই রাতেই ভোলানাথবাবুকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কারখানার কয়েকশো শ্রমিক থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভোলানাথবাবুকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে স্লোগান চলে। শেষে পুলিশ ভোলানাথবাবুকে ছেড়ে দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসে। শ্রমিকদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু মন্তব্য করতে চাননি। ভোলানাথবাবু বলেন, “মহিলা শ্রমিকদের ছাঁটাই করা চলবে না। ছাঁটাই হলে আন্দোলন চলবে।” |