পরপর ৬টি চুরি মহিষাদলে, ক্ষোভ
ফের চুরির ঘটনা ঘটল মহিষাদলে। এ বার গণ-হারে। বৃহস্পতিবার রাতে চুরি হয়েছে কেশবপুর জলপাই গ্রামের ইটানগর ২ পঞ্চায়েত, ভূমি দফতরের স্থানীয় রেভিনিউ ইনস্পেক্টরের দফতর, কেশবপুর জলপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি-উন্নয়ন সমিতি, গ্রামের পোস্ট অফিস, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ও স্থানীয় বাসিন্দা অসিত পালের দোকানে। প্রতিটিতেই শাটার, গ্রিল ও কাঠের দরজা ভেঙে একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। দাবি, সব মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে, কয়েক হাজার টাকার বেশি নিয়ে যেতে পারেনি তারা। দুষ্কৃতীদের একটি বড় দল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
একের পর এক চুরি-ডাকাতি ঘটলেও কোনওটিরই কিনারা করতে না পারায় পুলিশকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, “পুলিশের অপদার্থতায় এলাকায় দুষ্কৃতীদের এই বাড়বাড়ন্ত!” প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর ব্রজলালচক বাজারে সোনার দোকানে ডাকাতি, ১০ ডিসেম্বর লক্ষ্যা বাজারে লক্ষ্যা ১ পঞ্চায়েত অফিস ও একটি সোনার দোকানে একই কায়দায় চুরি হয়। প্রতিক্ষেত্রেই ঘটনাগুলি ঘটেছে রাত দুটো নাগাদ এবং বড় রাস্তার ধারে। কয়েক’টি গাড়িতে এসে লুঠতরাজ চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত সদস্য মলয়কুমার দাস বলেন, “রাত দু’টো নাগাদ খবর পেয়েই থানায় জানাই। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও দুষ্কৃতীদের ধরা গেল না কেন, সেটাই ভাবাচ্ছে।” পুলিশের ভূমিকায় সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সোমনাথ মাইতি, সিপিএমের মহিষাদল জোনাল সম্পাদক শরৎ কুইল্যাদের মতে, পুলিশকেই এর দায় নিতে হবে। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্ত চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.