সুফি সঙ্গীতের সমাদর তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে দিন-দিন। বলিউডের গানেও সুফি-রকের প্রাধান্য ইদানীং চোখে পড়ার মতো। এই আবহে শহরের সুফি-সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর, কারণ এ বার কলকাতায় আসছেন তুরস্কের সুফি শিল্পীরা।
রবিবার সুফি-সঙ্গীতের উৎসব ‘রুহানিয়ত’-এর মঞ্চে ভারতীয় সুফি শিল্পী মদনগোপাল সিংহের সঙ্গে সুর মেলাবেন তুরস্কের নামী শিল্পী লতিফ বোলাট। দেশবিদেশে অসংখ্য অনুষ্ঠান করেছেন এই শিল্পী। কলকাতা এই প্রথম শুনতে পাবে তাঁকে, তাঁর ‘সাজ’-বাদনকে। থাকবেন তুরস্কের দরবেশরাও। এঁরা সকলে গাইবেন বিখ্যাত পার্সি সুফি সন্ত রুমি এবং তুর্কি সন্ত ইউনুস এমরে-র পদ। মদনগোপাল সঙ্গত করবেন বাবা বুল্লে শাহ, আমির খুসরু এবং কবীরের দোহা গেয়ে। তাঁর ব্যান্ডের নাম, ‘চার ইয়ার’।
সুফি-সুরের এই জলসায় থাকবেন বাংলার পার্বতী বাউল, পাকিস্তানের কাওয়ালি শিল্পী ফরিদ আয়াজ এবং রাজস্থানের কাচরা খানের মতো লোকশিল্পীরাও।
২০০১ সালে মুম্বই থেকে যাত্রা শুরু করে এই উৎসব এ বার ১৩ বছরে পা দিচ্ছে। প্রতি বছর ভারতের ৯টি শহরে এই উৎসবের আসর বসে। বাদ থাকে না কলকাতাও। উৎসবের উদ্যোক্তা মহেশ বাবুর দাবি, এই উৎসবে সেই শিল্পীদেরই আনা হয়, যাঁরা শুধু শৌখিন বা পেশাদার শিল্পী নন। এঁরা নিজেরা প্রত্যক্ষ ভাবে সুফি-বাউলের মতো নানা আধ্যাত্মিক দর্শনে দীক্ষিত। এঁদের মধ্যে অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা এই উৎসবের মধ্য দিয়েই পরিচিতি পেয়েছেন, পরে তাঁদের কদর ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। তবে তুরস্কের অংশগ্রহণ এই প্রথম। বছর দুয়েক আগে অন্য একটি সুফি-উৎসবে মহানগরের মঞ্চ মাতিয়ে তুলেছিলেন মিশরের সুফি শিল্পীরা। এ বার তুরস্কের সুফি-সুর শোনার অপেক্ষায় শহরবাসী। আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের মাটিতেও এই উৎসবকে নিয়ে যাবেন তাঁরা। ইস্তানবুলেও এ বার রুহানিয়ত-এর আসর বসবে। |