মজুরি মেটানোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন পুরুলিয়া পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। আজ বুধবার থেকে তাঁরা ফের কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ দিন পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত তাঁদের তিন মাসের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে। পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তাঁদের তিন মাসের বকেয়া মজুরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আন্দোলনে যোগ দেওয়া কর্মীদের তরফে সরজিত্ স্যামুয়েল, দীপক রজকরা জানান, পুরকর্তৃপক্ষ সাত দিনের মধ্যে তাঁদের তিন মাসের বকেয়া মজুরি দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তবে ওই সময়সীমার মধ্যে বকেয়া না মেটানো হলে, তাঁরা ফের অন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন।
২২ মাসের বকেয়া মজুরি না পেয়ে রবিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছিলেন পুরুলিয়া পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা। ফলে শহরের সাফাই কাজ ব্যাহত হয়। সোমবার থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল জল ও বিদ্যুত্ সরবরাহ বিভাগের অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। প্রথম দিনেই পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় ও বিরোধী দল নেতা বিভাস দাস আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু সে আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেননি।
এ দিন পুরসভার বোর্ড মিটিং এ অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি মেটানোর বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক চলে। সেই সময় পুরসভার বাইরে অবস্থানে বসেন ওই অস্থায়ী কর্মীরা। পুরসভা সূত্রের খবর, মূলত প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের জন্যই মজুরি দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্থির হয়েছ, আপাতত তিন মাসের বকেয়া মজুরি মেটানো হবে। পুরসভার তরফে আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে তাঁরা ২২ মাসেরই বকেয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। পরে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুরকর্তৃপক্ষের তিনমাসের বকেয়া মেটানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেন। অবস্থান তুলে নেওয়া হয়। পুরপ্রধান বলেন “বিগত পুরবোর্ডগুলি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক সাফাই কর্মী নিয়োগ করেছিল। কিন্তু পুরসভার সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় ওই বিরাট সংখ্যক কর্মীর মজুরি দেওয়া সম্ভব নয়। আপাতত তাঁদের তিন মাসের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে। কিন্তু এই অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা না কমানো গেলে স্থায়ী সমাধান করা যাবে না।” |