|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বিচিত্র উইপোকার ঢিবি |
বিষ্ণুপুর থেকে মুকুটমণিপুর যাওয়ার রাস্তার দু’ধারের বনে বড় বড় উইপোকার ঢিবি দেখলাম। কোনওটার আকৃতি শিবলিঙ্গ, কোনওটা তাঁবু, কোনওটা পাহাড় ও টিলার মতো ও রং সাদাটে ও লালচে মাটির। উইপোকার শিল্প অপূর্ব সুন্দর। অনেক ঢিবি ভাঙা দেখে আমিও একটি ঢিবিতে হাত দিলাম, অমনি ভূমিকম্পের মতো ভেঙে গেল। ভাঙা ঢিবি থেকে পিলপিল করে সাদাটে রঙের পিঁপড়ের মতো ছোট, বড় উইপোকা বেরোতে লাগল। আমি কাগজে আমার নাম লিখে ঢিবির পাশে রেখে, বন দেখে মুকুটমণিপুর চলে গেলাম। পরের দিন ফেরার সময় আগের দিনের জায়গায় গাড়ি দাঁড়াল। আমি আমার ভাঙা ঢিবিটির কাছে গেলাম ও দেখলাম, এক দিনে সুন্দর করে অন্য আকৃতির ঢিবি তৈরি করে ফেলেছে। আর আমার নাম লেখা কাগজটি পাশে পড়ে আছে। বাড়িতে জানলা-দরজায় উইপোকার বাসা দেখেছি, কিন্তু বনের মধ্যে বাসা খুবই সুন্দর।
অর্ণব চোংদার। পঞ্চম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় |
|
|
কাক আর বিড়ালের বন্ধুত্ব |
ধানবাদের নতুন রেল কোয়ার্টারের আশেপাশে প্রচুর আম গাছ আছে, যাতে অনেক রকম পাখি আসে, বসে, উড়ে যায়, খেলা করে। একটা কাককে দেখলাম তার একটা পা নেই। এক পায়েই সে উড়ছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তার হাঁটা দেখে আমার খুব কষ্ট হল। তাই দুপুরের খাওয়া সেরে মাছের কাঁটার সঙ্গে খানিকটা ভাত আর তরকারি মিশিয়ে তাকে খেতে দিলাম। খাবার পেয়ে তাকে বেশ আনন্দিত বলেই মনে হল। কিন্তু কী আশ্চর্য, দেখলাম কাকটা কয়েক বার কা-কা করে ডাকল আর কোথা থেকে একটি বেড়াল বেরিয়ে এল। তার পর দু’জনে পুরো খাবারটা একসঙ্গে খেয়ে কাকটা উড়ে গেল। বেড়ালটাও চলে গেল। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগল, পর পর চার দিন একই দৃশ্য দেখলাম আর পাপা, মাম্মি, দিদিকে দেখালাম।
শালিনা হাসান। সপ্তম শ্রেণি, অক্সিলিয়ম কনভেন্ট স্কুল, বারাসাত |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|