অতিরিক্ত কাজ করানোয় ম্যানেজারকে ঘরে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন চা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের নিদাম চা বাগানে। এ দিন ৮টা থেকে ৩ ঘণ্টা ম্যানেজারকে তালাবন্দি করে রাখা হয়। পরে পুলিশ বাহিনী ম্যানেজারকে উদ্ধার করে। শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে ৯ নভেম্বর বাগান বন্ধ হয়ে যায়। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ২০ নভেম্বর ফের বাগানটি খোলে। শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করাতে শুরু করেন। মালিক পক্ষের পাল্টা দাবি, বাগান খোলার সময়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিক্ষোভের খবর শুনে ডান-বাম সব সংগঠনের নেতারা বাগানে চলে আসেন। মালবাজারের বিধায়ক তথা সিটু নেতা বুলু চিক বরাইকও আসেন। শ্রমিক নেতারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, ম্যানেজারকে যাতে কেউ হেনস্থা করতে না পারেন সে কারণেই তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছিল। বাগানে কাজ না হলেও, কারখানা চালু ছিল।
শীতের সময় বাগানের পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি চা গাছের ডাল এই সময়ে ছেঁটে দিতে হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতি শ্রমিককে দৈনিক প্রায় ৬২০টি গাছের ডাল কাটতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি এক দিনে অত সংখ্যক চা গাছের ডাল কাটা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত গাছ না কাটলে মজুরি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এ দিন নিদাম চা বাগানের ম্যানেজার মনোজ রায় বলেন, “যা হয়েছে চুক্তি মতো, কম গাছ ছাঁটায় মজুরি কেটে নেওয়া হয়নি।” মালবাজারের বিধায়ক বুলু চিক বরাইক বলেন “মালিক পক্ষকে অতিরিক্ত কাজ করানোর শর্ত থেকে সরে আসতেই হবে।” একই দাবি প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নে বাগান ইউনিট সভাপতি রাম খেড়িয়ার। বাগানের সিটু ইউনিট সম্পাদক সুনিল লোহার পাল্টা বলেন, “শ্রমিক আবাস নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বৃদ্ধির মতো দাবি জানিয়ে ফল মিলছে না।” |