ভারতরত্ন সি এন আর রাও এ দেশে বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্ব, উপযুক্ত অর্থের অভাব ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর অভিমত জানিয়েছেন (‘বিজ্ঞানে টাকা মেলে না...’, ১৮-১১)। আমেরিকা থেকে সঞ্জয় দত্ত (‘তত্ত্বের বাজার নেই, তাই’, ১৯-১১) এই বিষয়ে আরও কিছু কথা বলেছেন। |
প্রসঙ্গত, কয়েক জন ভারতীয় বিজ্ঞানী অপেক্ষাকৃত কম খরচে জীববিজ্ঞানে বিশ্বমানের গবেষণা করেছেন। ভাবী বিজ্ঞানীদের পক্ষে এগুলি দৃষ্টান্ত হতে পারে। ১৯৬২ থেকে আরম্ভ করে চন্দ্রশেখরন প্রথমে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে, পরে বিদেশ থেকে ফিরে মাদুরাইয়ে আর শেষ জীবনে বেঙ্গালুরুতে বিশ্বখ্যাত গবেষণা করেছেন কাঁকড়া, চামচিকে আর পিঁপড়ের জৈব ঘড়ি (বায়োলজিক্যাল ক্লক) নিয়ে। সত্তরের দশক থেকে বেঙ্গালুরুতে রাঘবেন্দ্র গাডগকর প্রধানত এক প্রজাতির বোলতা নিয়ে ইথলজি বিষয়ে কাজ আরম্ভ করেন। সে কাজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গবেষণার দাবিদার। ওই সময়েই বেঙ্গালুরুতে রামন সুকুমার ভারতীয় হাতির ইথলজি বিষয়ে গবেষণা করে বিশ্বখ্যাত।
এই প্রেক্ষিতে স্মরণ করি চল্লিশের দশকে কলকাতার অবহেলিত প্রকৃতিবিদ গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের পিঁপড়ে নিয়ে গবেষণা। যার মূল্য এত দিনে বোঝা যাচ্ছে।
আর এল ব্রহ্মচারী। কলকাতা-৭৪
|
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী মহাশয়ের লেখা ‘ওরা কিন্তু সব দিব্যি রয়েছে’ (২৬-১১) নতুন আশা জাগাল। এ কথা ঠিক, বেশ কিছু মানুষ এখন পরিবেশ সচেতন হয়ে উঠেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশ বিরুদ্ধ কাজের বিষয়ে উঠে আসছে প্রতিবাদ। হুগলি জেলা বিষয়ে শ্রীচক্রবর্তী মহাশয়ের লেখার সঙ্গে একটু সংযোজন না-করে থাকতে পারলাম না। সেটা হল, ভাম নামক প্রাণী। আমাদের এখানে এদের প্রবল বংশবৃদ্ধি ঘটছে সব রকম প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
নবকুমার চক্রবর্তী। মাহেশ, হুগলি |